May 15, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

মুসলিম নেতাদের শুদ্ধি!

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব : মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ গুলোর শাসকেরা প্রায় সবাই স্বৈরাচারী, স্বল্প শিক্ষিত, গোঁয়ার এবং সবার মূল পরিচয় এরা প্রায় সবাই ছোট বড় চোর। ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে বৈশ্বিক ক্ষমতার পালে মুসলমানদের কার্যত কোন অংশীদার না থাকাতেও আমাদের নেতাদের শিক্ষা হয় নাই, বরং পানামা পেপার্স লীকে মুসলিম দেশের নেতাদের (পড়ুন চোর) ভীড় গতানুগতিকই। সৌদি আরব থেকে পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশ সবখানেই রাষ্ট্রীয় সম্পদ লূটেরায় ভরা। সাম্রাজ্যবাদী অপশিক্ষা দিয়ে এই চৌর্জ বৃত্তির সূচনা হলেও এখন নিজেরাই নাগরিক ঠকানোর এবং স্বদেশ লূটের দায়িত্ব নিয়েছে আগ বাড়িয়ে। সুকঠিন ইসলামিক এথিকসের লেশমাত্রও দেখা যায়না মুসলিম শাসকদের মাঝে।
বটম লাইন হল, মুসলিমদের স্বৈরাচারী, স্বল্প শিক্ষিত, গোঁয়ার এবং চোর শাসকরা ইন্সটিটিউশনাল শাসন কি তা ঠিক মত জানলেও মানে না, টেকনোলজির বাস্তবায়নে কিভাবে ব্যবস্থাপনায় উতকর্শ আনা যায় এই নলেজ তাদের অনেকের মধ্যেই নেই, দুর্নিতি প্রতিরোধের অটোমেশন ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তাদের ধারণা অস্পষ্ট। তারা যে জিনিস জানে তা হচ্ছে লাগাতার লূটপাট। বাটপারির নলেজই তাদের চূড়ান্ত। শুধু চুরিতে কম বেশি, ড মাহাথির যাকে বলেছেন টেবিলের উপরে কিংবা নীচের অবস্থা। বাংলাদেশের সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশে দূর্নিতি টেবিলের উপরে উঠে গেছে স্বাধীনতার অব্যবহতি পরেই। বাংলাদেশ দুর্বিত্তায়ন কাঠামো শুধু উর্বরই হয়েছে, অন্য দেশে কেউ কেউ কিছুটা নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেছেন কালে ভদ্রে।
আল্লাহ্‌ পাক আমাদের এইসব নেতা থেকে মুক্তি দিন! আমীন। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সঃ এর আদর্শে উজ্জীবিত সৎ নেতৃত্ব এখন স্বপ্ন! সেই স্বপ্নের জন্য দোয়া করি নিয়ত।
পুনশ্চ, রজব তৈয়্যব এরদোগান। উনি বিগত এক দশকে সুশাসন, অর্থনৈতিক উতকর্শ এবং ব্যাপক কর্ম সংস্থান দিয়ে সামনে এগিয়ে এসেছেন। কিন্তু গত ২-৩ বছর উনার কর্মকান্ড দেখে মনে হচ্ছে উনি পাগল হয়ে গেছেন। খুব কস্টলি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ নির্মানের পর থেকে একজন মুসলিম হিসেবে তার প্রতি শ্রদ্ধা থাকার কথা না কারোই, উপরুন্ত সাংবাদিক ও বিরোধী নিপীড়নে হঠাত সিদ্ধ হস্ত হয়েছেন। উনার প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নিতির দৃশ্যমান অভিযোগও রয়েছে। ঘরে বাইরে দেশে বিদেশে এমনকি মুসলিম দেশেও উনার কোন দৃশ্যমান বন্ধু দেখা যাচ্ছে না। এরদোগানের পতন মুসলিম দেশ গুলোর সমস্যা আরো বাড়িয়েই তুলবে! সুন্নি কুর্দীদের কার্যত সায়ত্বশাসন দিয়ে এই সমস্যার সমাধান শক্তিশালী ইসলাম্পন্থীরা না করলে কেউ তা করবে না, এই সত্য গুলো নিয়ে কাজ করা দরকার টার্কিশ মুসলিমদের।
আল্লাহ্‌ পাক এক রকমের সুযোগ একই জন গোষ্ঠীকে একাধিকবার দেন না। কামাল আতাতুর্ক এবং অন্যদের একপেশে ইসলাম বিদ্বেষী ফিতনা ও নির্যাতনকে সরাতে প্রায় শতাব্দী লেগেছে মুসলিমদের। এই অর্জন যেন অসহিস্নুতায় অদূরদর্শীতায় এবং দুর্নিতিতে পর্যবসিত না হয়। আল্লাহ্‌ মুসলিমদের সহায় হোন। আকল এবং বুঝ দিন!
বাংলাদেশের ইসলামপন্থীদের আল্লাহ্‌ পাক অনেক সুযোগ দিয়েছেন, তার প্রতিটি তারা অবজ্ঞা করেছে কারণ আমাদের মুসলিম নেতাদেরও সবাই স্বৈরাচারী, স্বল্প শিক্ষিত, গোঁয়ার এবং সবার মূল পরিচয় এরা প্রায় সবাই ছোট বড় চোর। সুতরাং যতই মুনাজাতে সাচ্চা মুসলমান সাজি না কেন, বাস্তবাতায় আমাদের যে অনৈতিক বক্রতা, তা না শুধরালে দোয়া কবুল হবার সম্ভাবনা কম।
“আমি কোন জাতীর ভাগ্য পরিবর্তন করি না যতক্ষণ না সে জাতি তার নিজের ভাগ্য উন্নয়নে সচেষ্ট না হয়”!
লেখক : নেদারল্যান্ডস প্রবাসী

Print Friendly, PDF & Email