জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক : আগামী অক্টোবর মাসে দেশে বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। অক্টোবর মাসের প্রথমার্ধের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে জানিয়ে নভেম্বর মাসেও একটি ঘূর্ণিঝড় আসার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রোববার তিন মাসের দীর্ঘ মেয়াদী পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি মৌসুমী নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেপ্টেম্বর মাসে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা অববাহিকায় স্বাভাবিক প্রবাহ থাকতে পারে।
অক্টোবর মাসে বাংলাদেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এরমধ্যে অন্তত একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
অক্টোবর মাসের প্রথমার্ধের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবাহ (বর্ষা) বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
নভেম্বর মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে বাংলাদেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। নভেম্বরে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে অন্তত একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
নভেম্বর মাসে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আগস্ট মাসের আবহাওয়া তথ্য তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, এ মাসে সারাদেশে প্রায় স্বাভাবিক (২ ভাগ কম) বৃষ্টিপাত হয়েছে। খুলনা ও বরিশাল বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ও ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেট এবং রাজশাহী বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে কম এবং চট্রগ্রাম বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি নিম্নচাপ গত ১০ আগস্ট বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল অতিক্রম করে। এছাড়া একটি গভীর নিম্নচাপ গত ১৭ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে। অপরদিকে গত ২০ আগস্ট বাংলাদেশের উপর একটি পূবালী লঘুচাপ আসে, যা পরবর্তী সময়ে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২১ আগস্ট ফরিদপুর-যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলে এসে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। এরপর এটি আরও পশ্চিম দিকে এগিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় সারাদেশে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হয়।
সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল
আবহাওয়ার এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের অদূরে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত আছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘লঘুচাপের জন্য উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরের উপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
তিনি জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বৃষ্টি আরও বাড়বে
অপরদিকে মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
এজন্য প্রায় সারাদেশেই বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী তিন দিনে এ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলেও মঙ্গলবার জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রংপুর এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের প্রায় সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবেচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে, সেখানে ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এ বিভাগের আরো..
র্নিবাচনে বঞ্চিতরা কি পেলেন, কি পাবেন?
শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক অর্জন : টাইম ম্যাগাজিন
কুমারীপূজা ও সন্ধিপূজা আজ মহানবমী