May 15, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

বন্যা-উত্তর করণীয়

মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রধান : বন্যা ঝেঁকে বসেছে।একের পর এক অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। নতুন নতুন এলাকা বন্যাকবলিত হওয়ায় এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে।বন্যাদুর্গত মানুষ ক্রাণসংকটের পাশাপাশি পানিবাহিত রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে।

এ পর্যন্ত প্রায় ২৫টি জেলা বন্যার পানিতে ডুবে যায়।আবাদি জমির ফসল ও মাছের ঘের ভেসে যায় বন্যার পানির তোড়ে।পানি বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বন্যা প্রলম্বিত হয় ২৫ জুলাই ভারতের গজলডোবার সব বাঁধ খুলে দেয়ায়।বন্যায় এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে এসেছে।

আশার কথা, কিছু এলাকায় বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে।বন্যার পানি নামার সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে নদীভাঙ্গন। নদ-নদীর ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় নতুন করে বিপাকে পড়েছে নদীকূলের মানুষ। বন্যার পর এটা তাদের জন্য ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’য়ের মতো।

বন্যার পানি চলে যাওয়ায় নতুন নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে।এর মধ্যে পানিবাহিত রোগ-বালাই অন্যতম। ডায়রিয়া, আমাশয়, চুলকানিতে ভুগছে অধিকাংশ বানবাসী মানুষ।খাওয়া জোগার করতে যাদের প্রাণপাত অবস্থা, এ মুহূর্তে রোগের ওষুধ তারা নাগালে পাচ্ছে না।

বন্যাকবলিতরা বর্তমানে চরম খাদ্য সংকটে ভুগছে। অনেকের কাছে ত্রাণ না পৌঁছার অভিযোগ আসছে।ধনী-গরিব, বন্যা সবাইকে এক কাতারে শামিল করে দিয়েছে।পর্যাপ্ত শুকনো খাবার না থাকায় গ্রহস্থ পরিবারেও খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

বন্যার পানিতে চাপকলগুলো ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানিসংকট তীব্র আকার ধারণ করে।বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়া ও আমাশয় আক্রান্ত হয় বানভাসী মানুষ।ত্রাণের সঙ্গে বিশুদ্ধ পানি, ডায়রিয়া, আমাশয় ও চুলকানির ওষুধ বানভাসী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া জরুরি।

বন্যার পানি চলে যাওয়ার পর কৃষকের জন্য আবাদের ব্যবস্থা করা দরকার। যে ফসল দ্রুত পাওয়া যাবে, কৃষি অফিস কর্তৃক সে রকম ফসল আবাদের সুব্যবস্থা করা সময়ের দাবি। এ সময়ে গবাদি-পশু খুরা ও তড়কা রোগে আক্রান্ত হয়।এ অবস্থায় নতুন করে গজিয়ে ওঠা ঘাস গবাদিপশুকে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়া জরুরি।
লেখক : সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন
ই-মেইল : [email protected]

Print Friendly, PDF & Email