মাসকাওয়াথ আহসান : পাঠশালাকে ১৯ টুকরা করা সময়ের দাবী। “বৈধ” সনদ দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হিরকদ্যুতিময় শিক্ষা দেয়; বিরাট বিরাট জিনিয়াস তৈরী করে; তাদের কাজগুলো মাইলফলক হয়ে আকাশ ফুঁড়ে উঠছে। ওদিকে পাঠশালায় চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফির সার্টিফিকেট কোর্স চালিয়ে “অবৈধ” সনদ দেয়া হচ্ছে। পশ্চিমের অসভ্য দেশগুলোতে এমন প্রতিষ্ঠান আছে; সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বৈধতা দেয়। যেহেতু দলীয় করণের সভ্য সংস্কৃতি অসভ্য পশ্চিমারা রপ্ত করতে পারেনি; সেখানে ফাইলের লাল ফিতানেই; সৃজনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছন্দে বেড়ে ওঠাকে সবাই অনুপ্রাণিত করে। অনলাইনেও এরকম ভার্চুয়াল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে; যেহেতু পাঠের মাধ্যমে কাজটা শেখাটাই বড় কথা। কাজ না জানলে সারাজীবন সার্টিফিকেট বগলে করে ঘুরতে হয়। আর যুগে যুগে বৈধ সনদহীন পাঠশালাগুলোর ছাত্ররাই কর্মক্ষেত্রে ভালো করেছে। দেড়যুগে “পাঠশালা” থেকে কাজ শিখে বের হওয়া ছাত্রদের সৃজনশীল পেশাগত পারফরমেন্স (চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে) আর নানা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হওয়া কথিত বৈধ সার্টিফিকেটধারী ছাত্রদের কাজের ( চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে) প্রতিতুলনা করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।
এই পাঠশালা বন্ধ করে দেয়া হোক বা প্রতিষ্ঠাতাকে বিতাড়িত করে কোন প্রচন্ড দেশপ্রেম করা দুলাভাইয়ের মনপছন্দ শালাকে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে এটিকে একটি গোশালায় পরিণত করা হোক এমন আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন লালসালুডটকমের তালুকদার মিডিয়া মজিদ।
পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা যেহেতু আদিবাসীদের অধিকারের প্রশ্নে সোচ্চার থেকেছেন; তার জন্য অপেক্ষা করছিলো মিডিয়া মজিদের লালসালুডটকমের মাধ্যমে “কোন সংক্ষুব্ধ পক্ষের” পক্ষ থেকে কমলার ছিলকা ছোড়া। কারণ মিডিয়া মজিদ দক্ষ দেখে পক্ষ নেয়; কাকে কখন ঢিল দিয়ে পাড়তে হবে এতে সে সফল নিশ্চয়ই।
প্রতিবেদনটিতে মিডিয়া নৈতিকতা ভাঙ্গা হয়েছে ” সাবেক শিক্ষকে”-র উদ্ধৃতি ব্যবহার করে। কারণ সাধারণতঃ পাঠদানে ব্যর্থ শিক্ষকেরাই সাবেক হয়। তখন সে নিজের অযোগ্যতা ঢাকতে মিডিয়া মজিদ দ্বারা ব্যবহৃত হতে সদা প্রস্তুত থাকে।
আজকের এই শিক্ষকের আকালের বাস্তবতায় কোন পাঠশালাই কোন ভালো শিক্ষককে বরখাস্ত করে না।
লেখক : প্রবাসী সাংবাদিক, লেখা ফেসবুক থেকে নেয়া।
এ বিভাগের আরো..
অতিরিক্ত ভালোবাসা ঠিক নয়
সংসদ সদস্যকে আইন প্রনয়ন নয়, মানতেও হবে
জাতীয় চারনেতা হত্যা নেপথ্যে থাকা কুশলীব কারা