April 28, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

বাবার চিঠি

সৈয়দ আহসান কবীর

মা রে… কিছু কিছু মানুষের জীবনটা এলোমেলো। এরা যতই গোছাতে ইচ্ছে করুক, পারে না। বিধাতা এদের অগোছালো ভাবটা দেখতে খুব পছন্দ করেন। খুব ভালোবাসেন। খুব ভালোবেসে নিত্য নতুন পরীক্ষায় ফেলেন। আমি বোধ হয় বিধাতার পছন্দের। পছন্দের বললে ভুল হবে, খুব পছন্দের। সেজন্য গাদি গাদি পৃষ্ঠার খাতা আমার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। সব লিখে শেষ করার আগেই আর একটা চলে আসে। জানি না আমার পরীক্ষার শেষ দিনটা কবে। খুব জানতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু বিধাতার মোবাইল নাম্বারটা জানা নেই। থাকলেও বোধ হয় অনওয়ে হতো।

আউটগোইং এ্যালাউড, ইনকামিং বন্ধ।

দোয়া কর মা। তোমার বাবা খুব বেশি ভালো নেই। দৌড়ে দৌড়ে হাঁপিয়ে গিয়েছে। জীবনের দৌড়ে হার সে মানেনি কখনো, কিন্তু এবার কিছু বলা যাচ্ছে না।

কেউ বোঝেনি তাকে। তোমার তো বোঝার কথাই না। আমি জানি মা, তুমি অভিমান করে আছো।
কিন্তু যার সম্মানই প্রায় শেষ তার উপর আর অভিমান কিসের?

ভালো থেকো। শুভকামনা সব সময়।

খুব মনোযোগের সাথে চিঠিটা পড়ল অহনা। এখন কেউ চিঠি লেখে না। চিঠি বিষয়টা গল্পের মতো লাগে। মনে হয় একদা এককালে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল চিঠি। কিন্তু বাবার চিঠিটা পড়ে অহনার এমন মনে হচ্ছে কেন। মনে হচ্ছে, বাবা তার পাশেই দাঁড়িয়ে আছে, চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে। চিঠিতে যেন বাবার গন্ধ লেগে আছে। সে গন্ধে সারা ঘর মৌ মৌ করছে।

কষ্ট পেলে মানুষ কাঁদে। অহনা কষ্ট পায়নি। বাবার চিঠি পেয়ে সে আজ বেজায় খুশি। কিন্তু তার চোখ বেয়ে বৃষ্টি ধারা ঝরছে। খুশিতে চোখে পানি আসাকে নিশ্চয় কান্না বলে না। তাহলে কী বলা যেতে পারে! আপাতত অভিমানী আক্ষেপ ধরে নেওয়া যাক। বাবাকে কাছে না পাওয়া, সময়ে অসময়ে বাবার কাছে আবদার করতে না পারা, তার বন্ধু রাফি বাবার কোলে মাথা রেখে যেভাবে ঘুমিয়ে থাকে সেভাবে বাবাকে না পাওয়ার অভিমান, আরও কত অভিমান জমা হয়ে আছে অহনার মনে। অভিমানের শীতল বাষ্পগুলো অহনার মনের আকাশে এতদিন বরফ হয়ে জমেছিল। আজ গলতে শুরু করেছে।

অহনা এখন অনেক বড় হয়েছে। এমবিবিএস প্রথমবর্ষে। মায়ের পছন্দ ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং। চান্সও পেয়েছিল। অহনা ভর্তি হয়নি। বাবার এক বন্ধু প্রায়ই আসেন। প্রতিবার মায়ের কাছে বকা শোনেন, তারপরও আসেন। বাবার কথা বলেন। অহনার সাথে দেখা করতে চান। মা দেন না। কোনো একবার কথার ফাঁকে অহনা শুনেছিল তার বাবার ইচ্ছে মেয়ে ডাক্তার হোক। বাবার প্রতি অহনার অনেক অভিমান। তারপরও কী এক অজানা টানে বাবার সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দেয় সে। অবশ্য মাকে বুঝতে দেয় না। অন্যভাবে ম্যানেজ করে নেয়।

আজ বাবার চিঠি এসেছে। অহনার জীবনে পাওয়া প্রথম চিঠি। হোস্টেলের ছোট রুমে বাবার চিঠি হাতে বালিশে হেলান দেয় অহনা। ছোটবেলায় দেখা বাবার চেহারা মনে করতে চেষ্টা করে অহনা। হঠাৎ কে যেন গেট নক করে। অহনা খুলে দেয়। ওভারকোট পরা ভদ্রলোক গেটে দাঁড়িয়ে। হাতে সিগারেট। অহনা অনেকটাই অপ্রস্তুত।

– কাকে চান?
– তোমার নাম অহনা।
– জ্বি, কিন্তু আপনি কে? হোস্টেলে কীভাবে ঢুকলেন?
– মনে কর, চিনতে পারবে।
– মনে করব পরে। এখানে কীভাবে এলেন?

– আমি যে কোনো জায়গায় যেতে পারি। কোথাও কোনো পারমিশন নিতে হয় না। তারপর বল, কেমন আছো?

অহনা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে লোকটাকে দেখতে থাকে। খুব পরিচিত লাগে। কিন্তু কোথায় দেখেছে মনে করতে পারে না। দু-চার বছরের মধ্যে দেখে থাকলে মনে পড়ত। কারণ এ সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো খুবই সামান্য। এ কয়েক বছর সে শুধু বাসা থেকে স্কুল-কলেজ-টিউটর, আবার বাসা করেছে। সুতরাং তারও আগে। অহনা স্মৃতি হাতড়াতে থাকে। আস্তে আস্তে ছোট হয়ে যায়। স্মৃতিরাও পরিষ্কার হতে থাকে। মা তাকে নিয়ে বেরিয়ে আসছে। কে যেন পেছন থেকে ডাকছে। বাবা নিশ্চয়। কিন্তু কোথায়? কোন পাশে দাঁড়িয়ে আছে? অহনা বাধা পায়। ছটফট করতে থাকে। স্মৃতিকে ধাক্কাতে থাকে। কিন্তু আর পেছনে যেতে পারে না।

– কে বলুন তো আপনি?
– খুঁজে পেলে না তো? পাবে। ধীরে ধীরে চেষ্টা কর, পাবে। এখনই মাথায় চাপ নিও না।
তারপর পকেট থেকে এক বক্স কিটক্যাট চকলেট বের করে বললেন, নাও তোমার জন্য। অহনার খুব পছন্দের চকলেট। কিন্তু সে নেয় না। অদ্ভুত লোকটার সব কিছুই রহস্য। রহস্যময়তায় স্থাবর-অস্থাবর কিছুই গ্রহণ ঠিক না।

পরিচিত গন্ধটা মিলিয়ে যেতে থাকে। অহনা ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসে। দেখে, লোকটি প্যাসেজ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। অহনা দৌড়ে গেল-
– আপনি পরিচয় দিচ্ছেন না কেন?
– তোমার মনকে জিজ্ঞেস কর, উত্তর পাবে।
– কী জিজ্ঞেস করব?
– এই যে, আমি কেনো উত্তর দিচ্ছি না।
– আমি জিজ্ঞেস করেছি। উত্তর পায়নি।

– মিথ্যা বললে। তোমার মন অপেক্ষা করতে বলেছে। অপেক্ষা করলে উত্তর পাবে- তোমার মন সে কথাও বলেছে। কী বলেনি?

মিচকি হেসে লোকটি অহনার চোখে তাকায়। অহনা তার সৌম্য দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে মিথ্যে বলতে পারে না। হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ে।

পরিচিত কড়া গন্ধটা আবার মিলিয়ে যেতে থাকে। অহনা এবার আর ভাবনার জাল থেকে বের হতে পারে না। মিলিয়ে যাক গন্ধ। রহস্য তার স্মৃতির কোনো এক ফাঁকে নিশ্চয় লুকিয়ে আছে। লুকিয়ে আছে ওভারকোট, মিশে আছে এই পরিচিত গন্ধ।

ওইতো মা। বাবাকে বলছে, ‘একটু এদিকে এসোতে। বাবু তোমাকে ডাকছে।’ অহনা এক বাক্স খেলনা ছড়িয়ে খেলছে। বাবা বলছে, এইতো আসছি। আর দুইটা লাইন। বাবুকে নিয়েই লিখছি। ছোট সোনা চাঁদের কণা দুই এককে দুই, ছোট ঘরে ওরে মনা কোথায় তোরে থুই। ভালো নাহ…’। কিন্তু বাবা কোথায়? আসতে দেরি করছে কেন।

অহনা আর স্মৃতি হাতড়াতে পারছে না। মাথা চিনচিন করছে। প্যাসেজটা কেমন যেন ঘুরছে। বাবাকে তার পেতেই হবে। কিন্তু কীভাবে? আংকেল। হ্যাঁ, আংকেলকে খুঁজতে হবে। মাস খানেক আগে এক জানাজা বহরে শেষ বারের মতো তাকে দেখেছিল। ইদানীং তিনি আসছেন না। আসলেও অহনা বাসায় থাকে না। ও থাকে হোস্টেলে।

কাছের মানুষগুলো কখনো পর হয় না। পর পর মনে হয়। সময়ের আবর্তে আবার সব ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু চৌদ্দ বছর পেরিয়ে গেছে, বাবা মা এক হতে পারল না। কী হয়েছিল তাদের মধ্যে? অহনা এতদিনেও জানতে পারেনি। তাহলে কী বাবা মা আপন ছিল না? তা কীভাবে সম্ভব!

বাবার খোঁজ পাওয়া গেছে। সরাসরি বাবার খোঁজ নয়, আংকেলের খোঁজ। তার মানে বাবাকে পাওয়া যাবে। অনেক খুঁজে দাদা বাড়ি গিয়েছিল অহনা। এক দেখাতেই দাদা-দাদী চিনে নিয়েছিল তাকে। অহনা কাউকেই চিনতে পারছিল না। পরিচয় পেয়ে ছেলেবেলার স্মৃতিতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। পারেনি। বার বার নক করেও পারেনি। দাদী তাকে কামরাঙ্গা গাছের নিচে নিয়ে গেল। রয়েল ফলের গাছটা ঠিক তারে পাশে। রয়েল অহনার খুব পছন্দ। ছেলেবেলার মতোই এক নিমিষে ভুলে গেল সে কী কাজে এসেছে। গাছের তলায় পড়ে থাকা রয়েল ফল তুলে খাওয়া শুরু করল। দাদী খুব যত্নে পিঠে হাত রাখলেন। সেই পরিচিত গন্ধগুলোর একটা। তাহলে সেকি এতদিন দাদীর গন্ধই পেত! দাদার কাছে গিয়েও একই রকম গন্ধ পেয়েছিল। দাদী বললেন,‘তুমি ছোট থাকতে এভাবেই রয়েল তুলে খেতে। রয়েল তলায় এলে সব ভুলে যেতে। কোনো কারণে কান্না করলে বাবা তোমাকে কোলে তুলে দৌড়ে এখানে চলে আসত। বলত, বাবু, দেখো রয়েল পড়ে আছে। খাবে?। চুম্বকের মতো তোমার সব পানি যেন ভেতরে চলে যেতো। যেন এই রয়েলের জন্যই কান্না করছিলে। তুমি টক রয়েল খেতে আর চোখ মুখ কাচমাচু করে বুজে ফেলতে। আবার আর একটা মুখে পুরতে।

অহনা মন্ত্র মুগ্ধের মতো শুনতে থাকে আর স্মৃতির দরজা নাড়াতে থাকে। ওইতো সে, কার কোলে বসে রয়েল খাচ্ছে। চৌদ্দ বছর আগের সেই গাছতলা। কিন্তু কার কোলে বসে আছে অহনা। দাদির কথা ঠিক হলে বাবার কোলে। জিন্সের প্যান্ট দেখা যাচ্ছে, কিন্তু মুখ দেখতে পাচ্ছে না। বাবা তার সামনে আসছে না কেন। কেন আসে না। জোরে জোরে কড়া নাড়তে থাকে অহনা। দ্রুত উল্টাতে থাকে স্মৃতির পাতা।

বাবার নাম ধরে কে যেন ডাকল। বলল, বাবুর এখন দুধ খাওয়ার সময়। ছাইপাশ না খাওয়ালে হতো না?

কণ্ঠ চিনে ফেলল অহনা। মায়ের কণ্ঠ। ওইতো মা আসছেন। বাবার কোল থেকে এক ঝটকায় কোলে নিয়ে মুখ থেকে রয়েল ফেলে দিচ্ছে মা। বাবা বলছে, ছেলে মানুষ। খাক না। দুধ না হয় আজ না-ই খেল।

অহনা মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। মা তার মুখ থেকে ফল বের করে ঝারা দিয়ে মাটিতে ফেলছে। ইস, বাবার দিকে কেন যে তাকাচ্ছে না। ছোট অহনার উপর ক্ষোভ জন্মাতে থাকে অহনার। সেদিন তাকালে আজ আর স্মৃতি নাড়তে হতো না। বাবাকে পেয়ে যেত সহজেই।

দাদীকে জিজ্ঞেস করেছিল। ছবি নেই তার কাছেও। নিরুদ্দেশ হওয়ার আগে সব ছবি ছিঁড়ে ফেলেছে। ফেসবুক থেকে সব ডিলিট করেছে। বন্ধু-বান্ধবের আইডি হেক করে ছবি ডেলিট করে আবার যার যার আইডি তাকে অটো ফিরিয়ে দিয়েছে। কারো কাছে কোনো ছবি রাখেনি। কারও সাথে যোগাযোগ রাখে না। তবে এক বন্ধুর মাধ্যমে মাঝে মাঝে চিঠি পাঠায়। দাদী তার কাছে অনেকবার জিজ্ঞেস করেছ। বাবার ঠিকানা সে বলেনি। বললে বাবা তার সাথেও যোগাযোগ ছেড়ে দেবে বলে দাদীও জোর করেনি। চিঠিতো পাচ্ছে, একবারে যদি নিরুদ্দেশ হয়ে যায় তবে তো তাও পাবেন না। তার থেকে এই ভালো।

অহনার নামে একটা পেইজ আছে। এক চিঠিতে লিখেছিল। কোনোদিন অহনা আসলে জানাতে বলেছিল। দাদীর কাছে কথাটা শুনেই অহনা ট্যাব দিয়ে ঢুকে গেল ফেসবুকে। সার্চ দিল অহনা। খুব সহজেই পেয়ে গেল পেইজটি। শত শত লেখা। শেষ আপডেট মাসখানেক আগের। বাবা লিখেছে-

মা রে, জগৎটা খুবই নির্মম। আবার শান্তির। আমি দুটোই পেয়েছি। তোকে বুকে নিয়ে পেয়েছি শান্তি। নির্মমতা কোথায় তা তুই নিজেই বুঝে নিস। সব চাওয়া বোধ হয় সৃষ্টিকর্তা পূরণ করতে চান না। ওপারের জন্য রেখে দেন। আমার চাওয়াগুলোও বোধ হয় ওপারের জন্য জমা হয়ে আছে।

তোর সাথে দেখা হয়েছে, কথাও হয়েছে, কিন্তু তোর বাবা হতে সেদিনও পারলাম না। মুখ খুলতে চেয়েছি, কিন্তু নির্মমতা আমার পরিচয় দিতে দেয়নি। তোর মাকে কথা দিয়েছিলাম, যতদিন সে তার ভুল বুঝতে না পারবে ততদিন তার সুখই আমার সুখ। যেভাবে থেকে সে সুখী হতে চায়, হতে পারে। তুই তোর বাবা হিসেবে আমাকে বাঁচিয়ে রাখিস, আমার মেয়ে হিসাবে তোকে না-ই-বা চিনল লোকে। অনেক বড় হ। শুভকামনা সব সময়।

এক নিশ্বাসে লেখাটি শেষ করে পেইজ এডমিনে ঢুকল। বাবা নয়, সে নিজেই এডমিন। আবার চিঠির স্ট্যাটাসে ঢুকল অহনা। নাহ! শুধু ডট। বেশ কিছুক্ষণ নিচে গিয়ে লেখা ‘বিদায়’।

অহনার বুক ছ্যাৎ করে উঠল। মাসখানেক আগের জানাজার বহরে আংকেলের কাঁধে যে ওভারকোট ছিল সেটা কার? কেন সেটা ধরে এত কাঁদছিলেন তিনি? ওভারকোটের গন্ধটা তার পরিচিত কেন? কোটের সাথে আংকেলের কী সম্পর্ক? কেন অহনাকে দেখে কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারছিলেন না তিনি। বার বার কেনো তিনি খাটিয়া দেখিয়ে দিচ্ছিলেন? অহনা আর ভাবতে পারে না।

দাদা-দাদীকে কিছু না বলেই ছুটে যায়। পেছন থেকে দাদা বলছে ‘আপু, শোন। কিছু মুখে দিয়ে যা।’ দাদী কাঁদছেন। সবই কানে আসছে। কিন্তু সেদিকে মনোযোগ নেই তার।

ছুটে যেতে যেতে আংকেলের মোবাইলে কল দেয় সে। তিনি ঝিল পাড়ে আছেন। অহনা ট্যাক্সি নিয়ে দ্রুত ছুটে যায় সেখানে।

ডুবন্ত সূর্যের দিকে চেয়ে বসে আছেন আংকেল। কাছে এগিয়ে তার পিঠে হাত রাখে অহনা। চমকে ওঠেন তিনি। অহনার চোখ ভরা জিজ্ঞাসা। আংকেল উঠে দাঁড়ান। মাথায় সান্ত্বনার হাত বুলিয়ে দেন অহনার। মুখে কিছুই বলেন না। তারপর পকেট থেকে বের করেন একগুচ্ছ চিঠি। তুলে দেন তার হাতে। প্রতিটি চিঠির খামে লেখা- বাবার চিঠি।

চিঠিগুলো বুকে চেপে ধরে অহনা হু হু করে কেঁদে ওঠে। সেই পরিচিত গন্ধগুলো আবার চারপাশে ভিড় করতে থাকে। কে যেন বলে, পাগলি এভাবে কাঁদতে নেই। তুই কাঁদলে বড্ড কষ্ট হয়।

Print Friendly, PDF & Email