April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

???????????????????????????????????????????????

দেশে আসছে ৭৫ লাখ ডোজ কলেরার টিকা

আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ : মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ডব্লিউএইচও সাত দশমিক পাঁচ মিলিয়ন (৭৫ লাখ) কলেরা ভ্যাকসিন দেবে। এটার দুটো ডোজ নিলে তিন বছর পর্যন্ত কলেরা বা ডায়রিয়া থেকে সেফ থাকা যাবে। এটা মে মাসের ১০ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে চলে আসবে।’

দেশের ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে ৭৫ লাখ ডোজ কলেরার টিকা আসছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হয় মন্ত্রিসভা বৈঠক। বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি সম্প্রতি রাজধানীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ডব্লিউএইচও ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন (৭৫ লাখ) কলেরা ভ্যাকসিন দেবে। এটার দুটো ডোজ নিলে তিন বছর পর্যন্ত কলেরা বা ডায়রিয়া থেকে সেফ থাকা যাবে। এটা মে মাসের ১০ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে চলে আসবে।

‘নির্ধারিত আলোচনার বাইরে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বর্তমান কলেরা সিনারিও নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটা কেন হলো, এটা আমিও ব্যক্তিগতভাবে ১০ থেকে ১২ দিন ধরে ট্র্যাক করছি।’

তিনি বলেন, ‘আইসিডিডিআরবি, আইইডিসিআর, ডিজি হেলথ তারপর ওয়াসা, তাদের সঙ্গে আমি পার্সোনালি কথা বলেছি। মেইনলি আমরা যেটা দেখলাম, ঢাকায় গত ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে সম্ভবত এ রকম ডায়রিয়ার প্রকোপ বোধহয় দেখা যায়নি।

‘এটা মেইনলি হতো ডাউনে (দক্ষিণাঞ্চল) যখন ড্রাই সিজনে ডায়রিয়া হতো। এখানেও হয়েছে, এর কয়েকটি কারণ আমরা ফাইন্ড আউট করেছি। বিষয়গুলো কেবিনেটেও আলোচনা হয়েছে। আমরা চেক করে দেখলাম, ওয়াসা যে পানি দেয়, সোর্সে কোথাও ব্যাকটেরিয়া নেই। কোনো সোর্সেই ব্যাকটেরিয়া নেই।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘পানিটা যে নিয়ে আসছে অনেক জায়গায় লিক আছে, আবার অনেক জায়গায় তো এখন হাইরাইজ হয়ে যাচ্ছে। ওয়াসার লাইন বা সুয়ারেজ লাইন, উদাহরণ হিসেবে যদি ধানমন্ডি এলাকার কথা বলেন, ওটা তো একটা ইন্ডিভিজুয়াল বাসার জন্য ছিল। এখন এখানে বড় বড় অ্যাপার্টমেন্ট হয়ে গেছে। ন্যাচারালি পানির ডিমান্ড বা সুয়ারেজ লাইনের ক্যাপাসিটিতে, যেখানে নতুন করে লাইন লে ডাউন না করা হয়েছে সেখানে অসুবিধা হচ্ছে।

‘এখন মানুষ কী করছে, ওই জায়গায় নিজেরা কেটে পাম্প বসিয়ে পানি টেনে নিয়ে আসছে। এখন যেখানে বসাচ্ছে সেখানে তো লিক থেকে যাচ্ছে। সেখান দিয়ে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করছে। এটা অন্যতম একটা রিজন।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘অলমোস্ট সব জায়গাতেই এটা হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় এবার একটু বেশি হলো। আরেকটি বিষয় যেটা বিশেষজ্ঞরা আমাদের বলেছেন, কয়েকটি জায়গায় তারা পানি টেস্ট করে দেখেছেন, ক্লোরিনের একটু শর্টেজ আছে। এটাও এই পরিস্থিতির একটি বড় কারণ।

‘এটা সঙ্গে সঙ্গে ওয়াসাকে পয়েন্ট আউট করার ফলে তারা গিয়ে ক্লোরিন গ্রো করেছে, এটা এখন ঠিক হয়ে গেছে। আরেকটি বিষয় প্রধানমন্ত্রী রিকোয়েস্ট করেছেন, মানুষ ট্যাংকগুলো পরিষ্কার করে না। এই রিজার্ভারগুলো ৩ মাস বা ৬ মাস পর পরিষ্কার না করলে ব্যাকটেরিয়া ডেভেলপ করবে। এটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। সবাইকে একটু মোটিভেট করতে হবে। ওয়াসাকে বলা হয়েছে, আমরা পিআইডিকেও বলে দিচ্ছি, তারা এখন থেকেই ম্যাসিভ প্রমোশন ক্যাম্পেইন করবে।’

তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার থেকে জানানো হয়েছে যে লোকজন আসে, তাদের অনেকের মধ্যে ডায়রিয়ার জীবাণু পাচ্ছি। এটার একটা কারণ, গ্রামের পানিতে কিন্তু ব্যাকটেরিয়া নেই। আমাদের টেকনিক্যাল লোকজন যেটা বলছে, যারা বিদেশে যান তারা এয়ারপোর্টের আশপাশে দুই-তিন দিন থাকেন, ছোটখাটো হোটেলগুলোতে।

‘আমরা গত ১০ থেকে ১২ দিন ধরে ইতোমধ্যে ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দিয়েছি, এখন তারা অপারেশন চালাচ্ছেন। ওয়াসার টিম গিয়ে দেখছে, হোটেলের পানিগুলো কেমন।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘আক্রান্তের একটি বড় অংশ যারা বাইরে খায়, মেসে খায়, তারাই বেশি এফেকটেড হচ্ছে। বাসার লোকেরা কম এফেকটেড হচ্ছে।’

Print Friendly, PDF & Email