April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি

ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১১৯ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তবে এ সময়ে করোনায় কেউ মারা যায়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এ সব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর নয় ল্যাবে গতকাল রোববার ২ হাজার ৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১১৯ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের ১০১ ও উপজেলার ১৮ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারী ও পটিয়ায় ৪, আনোয়ারায় ৩, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকু- ও বোয়ালখালীতে ২ জন করে এবং সাতকানিয়ায় একজন রয়েছেন।  জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ৩ হাজার ২০৩ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ৭৬৪ ও গ্রামের ২৮ হাজার ৪৩৯ জন।
করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গতকাল শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩৪ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৪ ও গ্রামের ৬১০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৪৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে শহরের ১০ ও গ্রামের ১২ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩৩৬টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১০টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ১৯ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২টি নমুনায় শহরের ৩টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ২৯ নমুনার মধ্যে শহরের ১০টিতে জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলেছে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৩৫ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২০ জন ভাইরাসবাহক শনাক্ত হন। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৩২৫ নমুনায় শহরের ৫টিতে জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৪টি আক্রান্ত পাওয়া যায়। এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতাল ল্যাবে ৩৯ নমুনায় শহরের ১৬টিতে জীবাণুর উপস্থিতি ধরা পড়ে। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৪ জন আক্রান্ত পাওয়া যায়। এখানে ২৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ২২ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৬ জন সংক্রমিত বলে জানানো হয়। চট্টগ্রামের একটি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে সেটির নেগেটিভ আসে।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ল্যাব এইড ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, শেভরনে ৪ দশমিক ৬৮, বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ৯৭, চমেকহা’য় ২৯ দশমিক ২৩, চবি’তে ২৫, আরটিআরএলে ৩ দশমিক ৪৪, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫ দশমিক ৯৭, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১ দশমিক ৫৪, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২ দশমিক ৯৮, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫৫ দশমিক ১৭, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১ দশমিক ৫৬, এন্টিজেন টেস্টে ২৭ দশমিক ২৭ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ০ শতাংশ।(বাসস)

Print Friendly, PDF & Email