April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষায় ৬৮ করোনাক্রান্ত শনাক্ত

ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় কম নমুনা পরীক্ষায় ৬৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। এ সময়ে করোনাক্রান্তদের কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ নগরীর সরকারি তিন ও বেসরকারি একটি ল্যাবরেটরিতে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর চারটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে শনিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৬৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬৩ জন ও তিন উপজেলার ৫ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ২৪ হাজার ৮৪৪ জন। এর মধ্যে শহরের ১৮ হাজার ৬২০ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ৬ হাজার ১৭৭ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে বোয়ালখালীতে ৩ জন এবং বাঁশখালী ও ফটিকছড়িতে ১ জন করে রয়েছেন।
শনিবার করোনাক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৩১৮ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ২২৩ জন ও উপজেলার ৯৫ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৩৩২ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ২১ হাজার ৮২৯ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৫৯৮ জন, ঘরে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৮ হাজার ৩৩১ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২৭ জন, ছাড়পত্র নেন ২৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ২৬৮ জন।
উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ পর শনিবার প্রথম শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা একশ’র নিচে নেমে এলো। গত ২২ নভেম্বর ৬৪ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এর আগে ১৫ নভেম্বর ৬৩ জন পজিটিভ চিহ্নিত হন, সংক্রমণ হার ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
অথচ শনিবারের আগে পুরো সপ্তাহের চিত্র ছিল বেশ অস্বস্তির। ২৮ নভেম্বর ১৮৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ২৭ নভেম্বর ২০৬ জন পজিটিভ চিহ্নিত হন। সংক্রমণ হার ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ২৬ নভেম্বর ২২৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ। ২৫ নভেম্বর ১০৬ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। ২৪ নভেম্বর সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ১৮৩ জন। সংক্রমণ হার ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। ২৩ নভেম্বর পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪২ জন জীবাণুবাহক শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ছিল সবচেয়ে বেশি ১৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টার ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৭২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৫ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৩১টি নমুনার ১৮ টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ১৩০ নমুনায় ২৪ টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৯৫ টির ১০ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ৯৪ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় একটি ছাড়া সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে। তবে, এদিন সরকারি তিন ল্যাব চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এ প্রসঙ্গে আজ সকালে বাসস’কে বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ল্যাব পরিদর্শনে ঢাকা থেকে একটি টিম এসেছিল। তারা কিছু সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছেন। সেসব সংস্কার কাজ শেষে আজ থেকে নমুনা সংগ্রহের কথা রয়েছে। গত দু’দিন চমেকের নমুনা সিভাসু’তে পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যায় ও ভেটেরিনারিতে সাধারণত শুক্রবারে নমুনা সংগ্রহ হয় না। এ কারণেই শনিবার উক্ত দুই কেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষা হয়নি।’
ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর ডা. আরিফ উদ্দিন আহমেদ বাসস’কে জানান, ‘শুক্রবার আমাদের ল্যাবরেটরিতে নমুনা সংগ্রহ হয় না। তাই শনিবার পরীক্ষা হয় না।’

সূত্র: বাসস

Print Friendly, PDF & Email