May 15, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

জিকা নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হলেও এই ভাইরাস নিয়ে জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। শুক্রবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত স্ক্রিনিং মেশিন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তবে পাশ্ববর্তী দেশ সিঙ্গাপুরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ এবং ১০ বাংলাদেশির আক্রান্ত হওয়ার খবরে মানুষের মধ্যে কিছুটা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশিরা যাতায়াত করে। তাই সতর্ক থাকতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে আগত এবং বিদেশগামী যাত্রীরা বিমানবন্দরে স্থাপিত স্ক্রিনিং মেশিনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। কারও শরীরে জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে সরকারি খরচে তাকে চিকিৎসা দেয়া হবে।
জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জিকা সংক্রমণে মৃদু জ্বর হয়। শরীর ঠাণ্ডা রাখলে জিকা সংক্রমণ সেরে যায়। তাই বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এতে করে ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে জিকা সংক্রমণ সেরে যায়। তাই এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত ১০ বাংলাদেশি সুস্থ আছেন বলেও জানান তিনি।
সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ট্যুরিজম চালু থাকার কথা জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জিকা সংক্রমণের কারণে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ট্যুরিজমে কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমাদের দেশের অনেক মানুষ সেখানে কাজ ও ব্যবসা-বাণিজ্য করে, যাতায়াত আছে। এসব যাতায়াত ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
তবে গর্ভবতী মায়েদের একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে- একথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কারণ গর্ভবতী মায়ের জিকা সংক্রমণ হলে সন্তান বিকলাঙ্গ ও নিউরো-ডিসঅর্ডার হতে পারে। তাই তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
তিনি জানান, দেশের সব বিমান, নৌ, স্থলবন্দরসহ প্রত্যেকটি প্রবেশদ্বারে ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা দায়িত্ব পালন করছেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব বিমান কুমার সাহা, অতিরিক্ত সচিব ফয়েজ আহম্মদ, আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহজাদী সাবরিনা ফ্লোরা, সিডিসি পরিচালক অধ্যাপক ডা. একেএম শামসুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Print Friendly, PDF & Email