May 16, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসায় পাকিস্তান

ডেস্ক :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে অসামান্য সাফল্য অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেছে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতকালে পাকিস্তানের বিদায়ী হাইকমিশনার সুজা আলম একথা বলেন।
হাইকমিশনার বলেন, এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে পাকিস্তান শিক্ষা নিতে পারে।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
তিনি বলেন, সুজা আলম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
হাইকমিশনার এ বছরের নভেম্বরে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় সার্ক সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নওয়াজ শরীফের আমন্ত্রণ পৌঁছে দেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেট টিমের পারফরমেন্সের ভূয়সী প্রশংসা করে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল গত তিন বছর ধরে খুবই ভাল খেলছে।
হাইকমিশনারের বক্তব্য উদ্ধৃত করে ইহসানুল করিম বলেন, ‘বাংলাদেশ টিম যেভাবে সাহসিতকার সঙ্গে খেলছে তাতে তাদের প্রতিপক্ষে কোন দল খেলছে তা নিয়ে ভাবতে হবে না।’
দেশের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন দেশই শিক্ষা ছাড়া কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না এজন্যই তাঁর সরকার শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে।
আমরা দরিদ্র লোকদেরকে তাদের সন্তান স্কুলে পাঠাতে উৎসাহিত করেছি। আমরা পিতামাতাকে প্রণোদনা দিচ্ছি যাতে তারা তাদের সন্তানকে স্কুলে পাঠায়। তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি প্রায় শতভাগ।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার দেশব্যাপী ১৩,৭০০ কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, এসব ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রামীণ লোকদের বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী দূতের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে তাঁর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভি এবং মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস

Print Friendly, PDF & Email