May 15, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

গুলশান হামলা : নিহত ৫ জঙ্গীর ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন মঞ্জুর

আদালত প্রতিবেদক : রাজধানীর গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর রোডের হলি আর্টিজান বেকারী রেস্টুরেন্টে হামলার ঘটনার নিহত পাঁচ জঙ্গির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া ওই পাঁচ জনের অস্থি-মজ্জা ও রক্ত মাখা জামা-কাপড় মামলার আলামত হিসাবে জব্দ করতে অনমুতি চেয়ে করা আবেদন করা হয়েছে।
নিহত ওই পাঁচ জঙ্গিরা হলেন, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিরবাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল, শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।
গতকাল সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার ওই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার আমিনুর রহমান।
তিনি জানান, তদন্তের স্বার্থে নিহত পাঁচ জঙ্গির পরিচয় নিশ্চিত গওয়ার জন্য তাদের দেহের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য অস্তি-মজ্জা, চুল, রক্ত মাখা কাপড়চোপড় সংরক্ষনের জন্য আবে;ন করা হয়েছে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাদের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। নিহতদের রক্ত, চুল ও কাপড়-চোপড় জব্দ করার অনমুতি চাওয়া হয়েছে।
এর আগে ঢাকার সিএমএম আদালতে এ আবেদন করেন পুলিশের বিশেষ ইউনিট কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যশনাল ক্রাইম এর পরিদর্শক হুমায়ুন কবির।
গত ৬ জুলাই এ মামলার নথি (এফআইআর) আদালতে দাখিল করা হলে আগামি ২৪ আগষ্ট মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
গত ১ জুলাই রেস্টুরেন্টে রক্তাক্ত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। সেখানে ১৭ জন বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে হামলাকারীরা। জিম্মিদের উদ্ধার করতে গিয়ে নিহত হন আরও দুজন পুলিশ সদস্য। সন্ত্রাসীদের জিম্মা থেকে ভিকটিমদের উদ্ধার করার জন্য শনিবার সকালে ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ১১ ঘণ্টা সন্ত্রাসীদের জিম্মায় থাকার পর দ্রুততম সময়ে ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করায় মুক্ত হন ১৩ জন। মাত্র ১২-১৩ মিনিট ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করা হয়।
ঘটনার তিনদিন পর গত ৪ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, নিহত ওই পাঁচজন নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য এবং সাইফুল ইসলাম ওই রেস্তোরাঁর কর্মী হলেও হামলাকারীদের সহায়তা করেছিলেন।
বলা হয়, জীবিত বা জিম্মি দশা থেকে যাঁরা মুক্তি পেয়েছেন, তাঁরাও এ ঘটনায় জড়িত কি না, তা-ও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় মোট ৩২ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজন গাড়িচালক ও একজন আনসার সদস্য ছাড়াও বাকি সবাই পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা ও সদস্য।
মামলায় বলা হয়েছে, অভিযানে জিম্মি দশা থেকে ৩২ জনকে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে জিম্মি উদ্ধার অভিযানের আগে ১৯ জন এবং পরে ১৩ জন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া লোকজনের মধ্যে দুজন করে ইতালি ও শ্রীলঙ্কার, একজন জাপানি এবং বাকিরা রেস্তোরাঁর এ দেশীয় কর্মী এবং খদ্দের।

Print Friendly, PDF & Email