April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

অগ্রণী ব্যাংকের ডিএমডিসহ ৩ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঋণে অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অপসারণের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান খানকে। উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মিজানকে বৃহস্পতিবার বিকালে মতিঝিল থেকে গ্রেপ্তার করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা। এ সময় মিজানের সঙ্গে ব্যাংকটির ডিজিএম মো. আখতারুল আলম এবং এজিএম মো. শফিউল্লাহকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
৭৯২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণে অনিয়ম পাওয়ায় অগ্রণী ব্যাংকের এমডি সৈয়দ আবদুল হামিদকে অপসারণের জন্য সকালেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নির্দেশনা পাঠানো হয়।
এই অনিয়মের মধ্যে মুন গ্রুপকে দেওয়া প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে, যার অনুসন্ধান চালাচ্ছিল দুদক।
সকালে হামিদকে অব্যাহতি দেওয়ার পর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মিজানকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার পরপরই গ্রেপ্তার হলেন তিনি।
মুন গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারি নিয়ে গত জানুয়ারিতে মিজানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অগ্রণী ব্যাংককে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন তাকে ব্যাংকের নিয়মিত কাজের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
অগ্রণী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান খান অগ্রণী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান খান
প্রণব ভট্টাচার্য্য বলেন, “ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকার একটি জমিতে ভবন নির্মাণের নামে আয়-ব্যয়ের ভুয়া হিসাব দেখিয়ে ব্যাংক থেকে ১০৮ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।” এ বিষয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেছে দুদক।
মুন গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ওই জমিটির (মিজান টাওয়ার) মালিকানা দাবি করে ব্যাংক থেকে ঋণ নিলেও তার মালিকানা স্বত্বের বৈধতা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে।
দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়, “আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যদের লাভবান করে প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ওই জমির গ্রাহক মিজানুর রহমানকে ১০৮ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করে পর্যায়ক্রমে ৯৪.৮ কোটি টাকা উত্তোলন ও গ্রহণ করে ব্যাংকের তথা রাষ্ট্রের সম্পদের ক্ষতিসাধন ও আত্মসাৎ করেছেন।”

Print Friendly, PDF & Email