ডেস্ক প্রতিবেদন : যশোরে উদীচী ট্র্যাজেডির আজ সপ্তদশ বর্ষপূর্তি। দীর্ঘ সময় পার হলেও আজও ন্যায় বিচার পাননি বোমা হামলায় আহত ও নিহতদের পরিবার। দুর্বিষহ জীবন ও দুঃসহ যন্ত্রণার মাঝেও হামলাকারীদের শনাক্ত এবং তাদের শাস্তি হোক এ প্রত্যাশা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশাপাশি উদীচী’র সংগঠক ও সরকার পক্ষের আইনজীবীর।
দিনটি স্মরণে উদীচী আজ রক্তদান, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, প্রতিবাদী গান ও শহীদ স্মারকে আলোক প্রজ্বলন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ রাতে যশোর টাউন হল মাঠে চলছিল উদীচীর দ্বাদশ মহাসম্মেলনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মঞ্চের পাশেই বিস্ফোরিত বোমায় অঙ্গহানি হওয়া মানুষগুলোর একজন শহরের বেজপাড়া নলডাঙ্গা এলাকার নূর ইসলাম নাহিদ।
সরকারি সহায়তায় দু’টি কৃত্রিম পা পেলেও জীবিকার জন্য আজও যুদ্ধ করতে হচ্ছে তাকে। প্রতিদিন আয় করা ৮০ টাকা দিয়ে দু’শিশু সন্তান, স্ত্রী ও বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে সংসার চালাতে হয় তাকে। তবে এজন্য সকালে উঠে তাকে ছুটতে হয় খুলনায়। জীবিকা নির্বাহের কষ্ট মেনে নিলেও বিচার না পাওয়ার কষ্ট কোন মতেই মানতে পারছেন না নাহিদ এবং তার মতো অঙ্গহানি হওয়া মানুষগুলো।
বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন নারকীয় ওই হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবার-পরিজনরাও। কেবল ক্ষতিগ্রস্তরা নন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ভয়াবহ এ সন্ত্রাসী হামলার বিচার চান উদীচী যশোরের সংগঠকরাও।
২০০৬ সালে এ মামলার ২৩ আসামি খালাস পেলেও ২০১০ সালে সরকার পক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি হোক এমন প্রত্যাশা সরকার পক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম পিটুরও। বোমা হামলার ঘটনায় ১০জন নিহত ও আহত হন শতাধিক মানুষ।
এ বিভাগের আরো..
জলদস্যুদের কবলে নওগাঁর সাহিদুজ্জামানের বাড়িতে স্বজনদের আহাজারি
মসিক এ ইকরামুল হক টিটু দ্বিতীয় বার মেয়র নির্বাচিত
চকরিয়ায় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৬তম জন্ম মহোৎসব উদযাপন