গবেষকরা এ-ও দেখেছেন, জিকা ভাইরাসের ‘প্রাইম টার্গেট এরিয়া’ হল শিশুদের মাথার কোষ, কলা, নিউরন আর স্নায়ুতন্ত্র। তার পরেই তারা হামলা চালায় কিডনির কোষ, কলা, ভ্রুণের স্টেম সেল আর শিশু আরও একটি বড় হয়ে উঠলে, তাদের মস্তিষ্কের কোষ ও কলাগুলিতে। তাদের স্নায়ুতন্ত্রেও। তবে তা তুলনায় অনেকটাই কম। সাকুল্যে ১০ শতাংশ।

লন্ডনের ‘এমআরসি ল্যাবরেটরি অফ মলিকিউলার বায়োলজি’র নিউরো-সায়েন্টিস্ট ম্যাডেলিন ল্যাঙ্কাস্টার বলেছেন, ‘‘এই গবেষণার ফলাফলটিকে বলা যেতেই পারে যুগান্তকারী। কারণ, এই ফলাফল শিশুদের বিকৃত ও অপরিণত মস্তিষ্কের জন্য জিকা ভাইরাস কতটা দায়ী, তার ওপর একটা মনে রাখার মতো আলোকপাত করল।’’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) জিকা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির প্রধান ব্রুস আইলওয়ার্ড বলেছেন, ‘‘এই সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল যে শুধুই মাইক্রোসেফ্যালির ওপর আলো ফেলল, তাই নয়, আলোকপাত করল ‘গালিয়ঁ-বারঁ সিনড্রোমে’র ওপরেও।’’