April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

বাংলাদেশের মশায় জিকা থাকা না থাকা নিয়ে শঙ্কা

ডেস্ক প্রতিবেদন : ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশা। আর এই একই মশা বিশ্বজুড়ে ছড়াচ্ছে জিকা ভাইরাসও। আর এ কারণে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা শঙ্কায় আছেন, এ দেশের এডিশ মশা আগে থেকেই জিকা ভাইরাস বহন করছে কি না তা নিয়ে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের মশার মধ্যে যে মশা, এডিস ইজিপ্টি মশা সেই মশায় জিকা ভাইরাস উপস্থিত আছে কি না তার জন্য এরই মধ্যেই আমরা মশার নমুনা সংগ্রহ করেছি। সেগুলো বিশ্লেষণ করা হবে এবং আমরা আমাদের এর আগে যেসব রোগী ডেঙ্গু জ্বর অথবা চিকনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের রক্তে সত্যিকার অর্থেই জিকা ভাইরাসও আছে কি না, সেটি পরীক্ষা করার জন্য আইডিসিআরের উন্নতমানের ল্যাবরেটরিতে কার্যক্রম গ্রহণ শুরু করেছি।’

বিদেশ থেকে জিকা ভাইরাসের জীবাণু বহনকারী কেউ যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য এরই মধ্যে বাংলাদেশে প্রবেশের প্রতিটি চেকপোস্টে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, ‘বিমানবন্দর, স্থলবন্দর, নৌবন্দর- সব বন্দরে আমাদের এ সমস্ত রোগী, যারা জ্বরের লক্ষণ নিয়ে আসবে তাদের শনাক্ত করার জন্য যন্ত্রপাতি এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেডিকেল সার্ভিস প্রোভাইডার, তারা সেখানে নিয়োজিত আছেন।’

এরই মধ্যে জিকা ভাইরাস নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই ভাইরাস মানুষের মৃত্যু ঘটায় না। কিন্তু কোনো নারী যদি এ ভাইরাস বহনকারী হয় তবে তার গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের গঠন পরিপক্ব হয় না। শিশুটিকে জন্ম নিতে হয় বিকলাঙ্গ আর অপূর্ণ হয়ে।

নতুন রোগ লেপটোসপাইরোসিস

রোগ গবেষকরা মনে করছেন, সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশে নতুন নতুন সৃষ্ট রোগ দুশ্চিন্তার একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লেপটোসপাইরোসিস নামের একটি জটিল রোগ শনাক্ত করা হয়েছে। রোগতত্ত্ব ইনস্টিটিউটের ২০ মাসের গবেষণায় এমন  রোগের কথা উঠে এসেছে। ইঁদুর ও গবাদি পশুর মলমূত্র থেকে সৃষ্ট এই অসুখটি পাওয়া গেছে ৭ শতাংশ জ্বরের রোগীর মধ্যে।

প্রচার না থাকায় লেপটোসপাইরোসিস রোগ নিয়ে এখনো তেমন কেউ জানে না এবং এ বিষয় নিয়ে এখনো তেমন কোনো সচেতনাও সৃষ্টি হয়নি।

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের  (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা এমনভাবে দেখিনি সেটা হলো লেপটোসপাইরোসিস। এটা মূলত ইঁদুরের রোগ। এটা গবাদি পশুর মধ্যেও হতে পারে এবং এগুলো তাদের প্রস্রাবের মাধ্যমে ছড়ায়। এটাতে জন্ডিসও করে কোনো কোনো ক্ষেত্রে। কিডনি ডিজিস করে, কিডনিকে এফেক্ট করে। ওগুলো কিন্তু একটা মারাত্মক আকারে যায় এবং এসব ক্ষেত্রে দেখা যায় এ রোগের মৃত্যুর হার পাঁচ ভাগ থেকে ৭০ ভাগ পর্যন্ত হতে পারে।’

Print Friendly, PDF & Email