April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

নৌকাই একমাত্র এদেশের উন্নয়নের হাতিয়ার: জননেত্রী শেখ হাসিনা

আব্দুল্লাহ আল মামুন: মাদারীপুরের কালকিনিতে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ জুলাইতে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম শান্তিপূর্ন ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করি এরই মধ্যে সেই খাদ্য ঘার্তি ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন পূরন করে ২৬ লক্ষ মেট্রকটন খাদ্য গোলায় মৌজুদ রেখে জাই। বিদুৎ উৎপাদন ১৬০০ মেগাওয়াট থেকে ৪৩০০ মেগাওয়াট বৃদ্ধি করি। বালাদেশের স্বাক্ষরতার হার ৪৫% থেকে ৬৫.৫ ভাগে উন্নতি করি। কমিউনিটি ক্লিনিক করে স্বাস্থ সেবায় জনগনের দৌড় গোড়ায় পৌছে দিয়ে বিনা মূল্যে ওসধ দিতে শুরু করি। আমার বাড়ি আমার ঘর প্রজেক্ট এবং বিভিন্ন ভাবে বয়স্ক ভাতা বিধবা ভাতা,মুক্তিযোদ্ধা ভাতা,প্রতিবন্ধি ভাতা, সামাজিক সুরক্ষার কাজ আমরা শুরু করি। এই প্রথম আওয়ামীলীগ সামাজিক সুরক্ষার কাজ হাতে নেয়। যাতে কোন মানুষ কষ্ট না পায়। এই কাজগুলো আমরা শুরু করেছিলাম দুর্ভাগ্যর বিষয় ২০০১ পহেলা অক্টোবারে নির্বাচন, সেই নির্বাচনে যেভাবে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেছিলো বিএনপি তখন ক্ষমতা হস্তান্তরের সাথে সাথে ১৩ জন সচিবকে ওয়েজডি করে দেওয়া হয়। শত শত অফিসারদের চাকরি চলে যায়। এই ভাবে নির্যাতন শুর হয়েছিলো।

বিএনপির আমলে ছিলো সন্ত্রাস দূর্নীতি, জঙ্গিবাদ,গ্রেনেট হামলা, বাংলা ভাই সৃষ্টি, দূর্নীতিতে সারা বিশে^র কাছে বাংলাদেশ ৫বার হেওপতিপন্ন হয় । ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে আওয়ামীলীগ দেশের মানুষের কল্যানে কাজ করে। যে কমিউনিটি ক্লিনিক মা বোনেরা হেটে যেয়ে চিকিৎসা পেত খালেদা জিয়া তা বন্ধ করে দেয়। আমরা আবার তা চালু করি। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, দ্রব্য মুল্যর সাথে সামানজস্য রেখে সেটা বৃদ্ধি করে দেই। যারা ভ’মি ও গৃহহীন তাদের ঘরবাড়ি আ¤্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু করেছিলাম সেটাও খালেদা জিয়া বন্ধ করে দিয়েছিলো। সেটাও আমরা চালু করি। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিশেষ আইন করে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করি।

আজকের বাংলাদেশ বিনা মূল্য বই দিচ্ছি। শিক্ষাথীদের বৃত্তি প্রাইমারী থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত আমরা বৃত্তি দেই। আমরা গবেষনার জন্য টাকা দেই তার কারন আমরা জানি গবেষনা ছাড়া কথনো কোন দেশ উৎকর্ষতা লাভ করতে পারে না। আজকে আমাদের দ্রুত পদক্ষেপের ফলে ৩ কোটি ৯৪লক্ষ ১০ হাজার শিক্ষার্থী বৃত্তি, উপ বৃত্তির এবং গবেষনায় সহযোগিতা পাচ্ছে সেটা একমাত্র আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আছে বলেই। আমাদের প্রত্যেকটা পদক্ষেপ জনমুখী।

করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন আমরা বিনা পয়সায় দিয়েছি কোন ধনী দেশ কিন্তু দেয়নাই। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার ছিলো বলে আজকে আপনাদের সকলকে বিনা পয়সায় ভ্যকসিন দিয়ে মহামারী থেকে রক্ষা করেছি। খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছি। যেখানে ১ কোটি ৮০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য ছিলো সেখানে আজকে আমরা ৪ কোটি প্রায় ৯২ লক্ষ ১৬ হাজার মেট্রিকটন খাদ্য উৎপাদন করি। প্রতিটি ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যন্ত রাস্তা ঘাট,ব্রিজ আমরা করে দিয়েছি। সবচেয় বড় কথা পদ্মা সেতু আল্লার রহমাতে আমাদের নিজেদের টাকায় পদ্ম সেতু করেছি। যার ফল আজকে আপনারা ভোগ করেন।

২০৪১ সালে আমাদের লক্ষ ৪১ সালের মধ্যে আমরা দক্ষ জন-শক্তি গড়ে তুলবো। স্ম্াট পপুলেশন স্মার্ট সরকার, আমাদের ইকোনোমি হবে স্মার্ট, সেই ভাবে দেশকে গড়ে তুলবো। শিক্ষা দিক্ষায় এদেশের জনগন যেন বিশে^র সাথে প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে পারে। আজকের তরুনরাই হবে সেই সৈনিক সেই ভাবেই নিজেদেরকে তৈরী করতে হবে। আর যারা নতুন ভোটার তাদের কাছে বলতে চাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে। সেটাই আমাদের লক্ষ। এই নৌকা পরারপ ৩বার একটানা ক্ষমতায় আছেন বলেই আজকে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে গেছে। প্রতিটি ঘর আলোকিতো করে দিয়েছে তাই নৌকাই একমাত্র এদেশের উন্নয়নের হাতিয়ার। কাজেই নোকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে বাংলাদেশের সেবা জাতে করতে পারি তার জন্য আপনাদেও জোর সহযোগিতা চাই।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠের জনসভায় ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে উপস্থিত হন তিনি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে জনসভায় মাদারীপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী নূর-ই-আলম চৌধুরী, মাদারীপুর-২ আসনের নৌকার প্রার্থী শাজাহান খান, মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনীর চৌধুরী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email