April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

ওসি ফিরোজ কবির সস্ত্রীক দন্ডিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতির দায়ে গুলশান থানার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) ফিরোজ কবিরকে ৬ বছর ও তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদকে ৪ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ফিরোজ কবিরের অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দ্বিগুণ অর্থাৎ এক কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

ফিরোজ কবির কর্তৃক অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি অর্থাৎ ৮৭ লাখ ১৭ হাজার ১৯৪ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অর্থদণ্ডের টাকা রায়ের দিন থেকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যর্থতায় তা আদায়যোগ্য হবে।

এদিন রায় ঘোষণার সময় জামিনে থাকা আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

ঘটনার বিবরনে বলা হয়, ফিরোজ কবির ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০১৬ সালের ৩১ মে র্পযন্ত এবি ব্যাংক গুলশান শাখার, ডাচ বাংলা ব্যাংক, গুলশান শাখার, এনআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংকের গুলশান শাখার, ইসলামী ব্যাংক, গুলশান শাখা, ব্র্যাক ব্যাংক, গুলশান শাখার চলতি হিসাবের এবং তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদ ইভার নামে পরিচালিত ডাচ বাংলা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সর্বমোট ৩০৯ দশমিক ৯৭ লক্ষ টাকা জমা করেন। তাদের ব্যাংক হিসাবে সমূহ পেশার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিপুল অংকের লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। অধিকাংশ হিসাব খোলার সময় ফিরোজ কবির অর্থের উৎস চাকরি দেখিয়েছেন। কিন্তু যে ধরনের ও যে অংকের লেনদেন হয়েছে তা বেতন ভাতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অর্থের উৎস সম্পর্কে অভিযুক্তরা কোন সন্তোষজনক ব্যাখ্যা বা প্রমাণ দাখিলে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, জমাকৃত উক্ত অর্থ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দুর্নীতি ও ঘুষ সংক্রান্ত সম্পৃক্ত অপরাধলব্ধ।
দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর গুলশান থানায় এ মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৯ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

-এমএ জলিল।

Print Friendly, PDF & Email