নাইকো দুর্নীতিখালেদাসহ আট জনের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহন অব্যাহত। 

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আট জনের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলবার এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।

শুরুতে খালেদার আইনজীবীরা সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রাখার আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান খালেদার পক্ষে করা আবেদন নাকচ করে সাক্ষ্য গ্রহন করেন। অবশিষ্ট জবানবন্দি ও জেরার জন্য আগামী ২৫ জুলাই দিন ধার্য করা হয়।

এদিন মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক বর্তমানে উপ-পরিচালক) মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম মুহাম্মদ মাহবুবুল আলমের জবানবন্দি দ্বিতীয় দিনের মতো গ্রহন করা হয়। এদিন তার জবানবন্দী শেষ না হওয়ায় পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়।

খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দেন। অপর আসামি সেলিম ভূঁইয়া ও খন্দকার শহীদুল ইসলাম আদালতে হাজির ছিলেন। আসামি সি এম ইউছুফ হোসাইনের পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। কারাগারে থাকা ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়।

এছাড়া অপর আসামি কাশেম শরীফ, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মীর ময়নুল হক পলাতক রয়েছেন।

ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে বিচার কার্যক্রম চলছে।

এ বছরের গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হলে মামলার বিচার শুরু হয়।

২০০৮ সালের ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) এস এম সাহিদুর রহমান খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাস্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি করেছেন।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে  রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন।

-এম জলিল