April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

স্বাস্থ্য ভালো করার কার্যকর ১০টি উপায়

ডেস্ক: স্বাস্থ্য টিপস সম্পর্কে জানতে আমরা প্রায় সবাই আগ্রহী। তবে স্বাস্থ্য ভালো করার উপায় জেনে কতজন তা মান্য করে চলে, তা-ই হলো দেখার বিষয়। সুস্বাস্থ্য দেহ হলো একটি বড় নেয়ামত। এটি অস্বিকার করার কোনো রকম স্ট্রং যুক্তি নেই। দেহ সুস্থ্য থাকলে মন এমনিতেই ভালো থাকে। আর সুস্থ্য দেহ এবং ভালো মন দিয়ে যে কোনো ভালো কিছু করা সম্ভব। যেমনভাবে ভালো খেতে হলে দাঁতের যত্ন নেওয়া অতিব জরুরী। অর্থাৎ দৈনন্দিন সকল প্রকার কাজকর্মে তখই পজেটিভ ফিল আসে, যখন আমাদের দেহ ভালো থাকে একই সাথে মনও ভালো থাকে। স্বাস্থ্য টিপস এর আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করবো এমন ১০টি উপায় নিয়ে যেগুলো হলো স্বাস্থ্য ভালো করার বেশ কার্যকারী এবং ফলফ্রসু উপায়।

বছরের প্রধান ২টি আবহাওয়া যথা শীত ও গরম, এই দুই সময় আমাদের দেহ ও স্বাস্থ্যের ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। খুব কম মানুষই রয়েছে, যাদের এই ক্ষেত্রে তেমন কোনো পরিবর্তন হয় নি। এছাড়াও খাওয়া-দাওয়া হতে শুরু করে ঘুমানো পর্যন্ত স্বাস্থ্য টিপস গুলো কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্য সুস্থ্য রাখতে হবে। আজকের আর্টিকেলে স্বাস্থ্য ভালো করার উপায় হিসেবে যে ১০টি পদ্ধতিকে উপস্থাপন করা হবে, সেগুলোকে মান্য করে চললে আশা করি অনেক রকম রোগ-বালাই হতে আমরা কিছুটা হলেও রেহাই পেতে পারি।

স্বাস্থ্য ভালো করার উপায় জানার সাথে চলুন স্বাস্থ্য টিপসগুলোও জেনে নিইঃ-

স্বাস্থ্য টিপস দ্ধারা স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়
স্বাস্থ্য টিপসগুলো জেনে দৈনন্দিন জীবনে অ্যাপ্লাইয়ের মাধ্যমে সুস্থ্য এবং রোগাক্রান্ত উভয় শরীরেই প্রভাব ফেলতে পারবো। আমরা স্বাস্থ্য টিপস বলতে সাধারণত বুঝি কিভাবে ওজন কমানো যায়, কিভাবে ভূড়ি কমাবো, ডায়াবেটিসের ব্যায়াম, ডায়াবেটিস কমানোর উপায়, মূখের দূর্গন্ধ দূর করার উপায়, কী কররে ঘুম ভালো হবে, ঘাড়ের ব্যথা ভালো করার উপায় সহ ইত্যাদি। বাস্তব জীবনে এগুলো ছাড়াও আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আছে যেগুলো স্বাস্থ্য টিপস হিসেবে পূর্বের টপিকগুলো থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মূলত শরীর ভালো থাকলেই উপরোক্ত সমস্ত কিছুই ভালো থাকে। তাই সবার প্রথমই চাই আমাদের শরীরকে ভালো রাখতে। আমাদের দেহকে ভালো রাখতে জাস্ট কযেকটি কাজ করলেই স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। এর এই কারণেই আজকের আর্টিকেলে এমন কিছু স্বাস্থ্য টিপস এর বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে যা সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য ভালো করার উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চলুন জানা যাক স্বাস্থ্য টিপসর এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়গুলো-

ভোরে বা সকালে পানি পান করা
সকালে পানি পান করা টপিককে সবার প্রথমে রাখার কারণ হচ্ছে কারণ আমাদের দিন শুরু হয় সকালে বা ভোরে ঘুম থেকে উঠার পর থেকেই। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ অনেক অংশ তখন কাজ করে না। যেমন পাকস্থলী এবং হজম প্রক্রিয়া অন্যতম। সারারাত কোনো রকম খাবার না পাওয়ায় হজম প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ থাকে। কিন্তু যখনই আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস স্বচ্চ-পরিষ্কার পানি পান করি, তখন আমাদের পাকস্থলি সাথে সাথেই অ্যাক্টিভ হয়ে যায় পাশাপাশি হজম প্রক্রিয়া চালু হয়ে যায়। সকালে পানি পান করার উপকারিতা শুধু এই দুটিই নয়। অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে। এই নিয়ে বিজ্ঞানিরা অনেক পরীক্ষা করেছে। এসব বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো স্বাস্থ্য উপকারিতা পেয়েছে। এই সেইগুলোই স্বাস্থ্য টিপস এর পর্বে উল্লেখ করবো। চলুন জানা যাক সকালে পানি পান করার উপকারিতাগুলো।

সকালে পানি পান করার উপাকারিতা
সকালের এক গ্লাস পরিষ্কার পানি শরীরের মেটাবলিজম এর বৃদ্ধি করে।
খুব দ্রুত পাকস্থলিকে অ্যাক্টিব করে।
হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়।
রক্তের ও দেহের দূষিত পদার্থগুলো বের করে দেয়।
কিডনির সমস্যা দূর করে। কিডনি ভালো রাখার উপায় হিসেবে সকালে পানি খাওয়া বেশ উপকারক।
যাদের বমি বমি ভাব রয়েছে, সেটা দূর করে।
পেঁটের পীড়া দূর করে।
ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে সহ ইত্যাদি।

সকালে পানি পান করার উপকারিতা সম্পর্কিত স্বাস্থ্য টিপসটি কতটা গুরুত্ব বহন করছে তা অবশ্যই বোঝতে পারছেন। মূলত একটি স্বাস্থ্য টিপস সামগ্রিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো করার উপায় হিসেবে কাজ করে। যা এখন বোঝা গেল।

সকালে ফল খাওয়া
বরাবর অন্য সকল কমন খাবারের মতো আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য ফল খাওয়াও উচিত। তবে সকালে ফল খাওয়ার মাধ্যমে দিনের অন্য ভাগের চেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। মাছ-মাংস, শাকসবজি থেকেও কিছু ক্ষেত্রে ভালো ভালো স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপকারক উপাদান পেতে পারি আমরা ফল থেকে। এরকম অনেকগুলো ফল রয়েছে, যেগুলোতে ভিটামিন, মিনারেল, আয়রণ, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ফসফরাস সহ আরো স্বাস্থ্য ভালো করার উপাদানগুলো রয়েছে। তাই শুধু মাছ-মাংস খেয়ে দিন কাটালেই শরীর সুস্থ্য থাকবে না। তার জন্য আমাদের কে অবশ্যই অন্য সব প্রধান খাবারগুলোর সাথে দৈনন্দিন খাবারের রুটিনে ফল-মূল রাখতে হবে। সকালে ফল খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। চলুন স্বাস্থ্য টিপস এর এই পর্বে জানা যাক সকালে ফল খাওয়ার উপকারিতাগুলো।

সকালে ফল খাওয়ার উপকারিতা
যেহেতু ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, তাই সেটি আমাদের দেহ বৃদ্ধি ও সুস্থ্য রাখে।
ভিটামিন সি জাতীয় ফল আমাদের দেহ ফাটল রোগ থেকে মুক্ত করে।
ফুসফুস ভালো রাখার উপায় হিসেবে সকালে ফল খাওয়া যেতে পারে।
ভিটামিন ডি জাতীয় ফল শিশুদের রিকেটস রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
ভিটামিন এ জাতীয় ফল চোখের জন্য বেশ উপকারি।
ত্বক ভালো রাখে ও উজ্জ্বল করে। রাতারাতি ফর্সা হতে নিয়মিত ফল খাওয়া ভালো অভ্যাস।
কিডনির জন্য বেশ উপকারক।
উপরোক্ত এই উপকারিতাগুলো ছাড়াও আরো অনেকগুলো উপকারতা রয়েছে সকালে ফল খাওয়ার। তাই স্বাস্থ্য ভালো করার উপায় হিসেবে আমরা এই স্বাস্থ্য টিপস টি মেনে চলার চেষ্টা করবো।

প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করা
ব্যায়ামের উপকারিতা অনেক রয়েছে এবং সকালে ব্যায়ামের উপকারিতা আরো অনেক বেশি। সার্বজনীন স্বাস্থ্যের জন্য একটি উপকারি টিপস হলো নিয়মিত দৈনিক ব্যায়াম করা। ব্যায়াম অনেক প্রকারের হয়, তবে আপনার পছন্দ অনুযায়ী দৈনিক কয়েকটি ব্যায়াম করতে পারেন। সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ব্যায়ম হলো দৌঁড়ানো। সকালবেলা দৌড়াতে পারেন। এতে করে মাংস-পেশী সহ শরীরের অন্য অংশগুলোতে একটি ঝাঁকুনি তৈরির মাধ্যমে সমস্ত শরীর সুস্থ্য থাকে। এছাড়াও মনোযোগ তৈরি করতে ব্যায়াম বেশ প্রচলিত একটি কৌশল। তাই শিশুদেরকে প্রতিদিন সকাল ৭-১০ পর্যন্ত রৌদ্রে খেলতে দেওয়া উচিত। কেননা তাদের খেলার মাধ্যমে যেমন ব্যায়াম হয়ে গেল ঠিক একইভাবে রৌদ্রে থাকার ফলে প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি পেয়ে যাবে। এতে করে শিশুদের রিকেটস রোগ তথা হাত-পায়ের হাঁড় বেঁকে যাওয়া রোগ হতে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। আর যুবক ও বৃদ্ধদের জন্য ব্যয়াম এর সঠিক সময় হচ্ছে দুপুর বেলা। দুপুরে ব্যায়াম করার সঠিক সময় কারণ এই সময়ে আমাদের শরীরের সমস্ত হাঁড় ও মাংসপেশী বেশি অ্যাক্টিভ থাকে। এছাড়াও শরীরের অভ্যন্তরীণ সকল অঙ্গ-প্রতঙ্গ তখন কাজে নিয়জিত থাকে। যে বিধায় দুপুরে ব্যায়াম করা হলো সঠিক সময়। এছাড়াও সকালেও ব্যায়াম করা যেতে পারে। সকালের ব্যায়ামেও বেশ অনেক কিছুর উপকার পাওয়া সম্ভব। চলুন সেগুলো সম্পর্কে জানা যাক।

সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা
শরীরে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পায় না।
যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদের উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে।
মাংসপেশী বৃদ্ধি করে ও শক্তিশালী করে।
শরীরের ব্যথা দূরে করে।
হার্ট ভালো থাকে। সঠিক খাবারের পর ব্যায়াম হলো হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার সেরা উপায়।
মনোযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে সহ ইত্যাদি উপকারিতা।
শরীরের ওজন কম রাখা
শরীরের ওজন বাড়ানো মোটেও কাম্য নয় বরং শরীরের ওজন কম রাখা হলো বুদ্ধিমানের কাজ। অনেকে স্ব-ইচ্ছায়ে দেহের ওজন বৃদ্ধি করে থাকে। এতে করে তাকে পরোক্ষণে নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। যেমন- প্রথমে চলে আসে বহুল প্রচলিত ডায়াবেটিস রোগ, হাই প্রেসার, ক্ষত, গ্যাসটিক, কোষ্ঠকাঠিন্য সহ আরো নানা রকম ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর রোগ। এই রকম অনেকগুলো রোগ থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই আপনাকে ওজন যাতে না বাড়ে সে দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। তাহলে কীভাবে শরীরের ওজনকে ঠিক রাখা যায়, অর্থাৎ খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমে কিভাবে শরীরের ওজন কম রাখা যায়, তার একটি তথ্য চিত্র তুলে ধরা হলো।

শরীরের ওজন কমানোর উপায়
প্রতিদিন অন্তত চার কাপ সুবজ চা বা গ্রিণ ট্রি খেতে পারেন। এত করে শরীরে ক্যালরি ক্ষয় হয়ে স্বাস্থ্য সংরক্ষিত থাকবে।
দিনে ঘুমানো থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। এর জন্য রাতে পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নিতে হবে। রাত্রে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাবেন এবং সকালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠবেন। দিনের ঘুম স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে।
চেষ্টা করতে হবে যেন সবগুলো খাবারেই কিছু না কিছু মশলা থাকে। কারণ মশলা যুক্ত খাবার দেহের অতিরিক্ত ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে থাকে।
নিয়মিত করে পানি খেতে হবে। কারণ পানি দেহের বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করে দেয় পাশাপশি দেহ কে টক্সিন মুক্ত করায় দেহের ওজন বৃদ্ধি পায় না।
অবশ্যই অবশ্যই মিষ্টি কম খেতে হবে। মিষ্টি দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয় যে কারণে মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
মূলত উপরোক্ত বিষয়গুলোর মাধ্যমেও আপনি দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারেন। এছাড়াও আরো অনেক পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো অবলম্বণ করে দেহের ওজন কমাতে পারেন। তবে বর্তমানে অন্যতম একটি উপায় হলো কিটো ডায়েট করা। যার মাধ্যমেও শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানো যায়।

পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
পুষ্টিকর খাবার মানিই দামি খাবার নয়। খাবারের গুণগত মান সঠিকভাবে থাকা এবং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি সেই খাদ্যগুলোকেই পুষ্টিকর খাদ্য বা খাবার বলে। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার টিপস টি হলো অন্যতম একটি কার্যকর টিপস। এমন কোনো খাদ্য খাওয়া যাবে না যেগুলো আমাদের দেহের জন্য খারাপ, আমাদের দেহে বিরূপ প্রভাব ফেলে। আমাদের বাংলাদেশে খুব কম টাকায় অনেক পুষ্টিগুণযুক্ত খাবার পাওয়া যায়। আজকের পর্বে আমরা সেই সকল খাবারগুলোকেই উল্লেখ করবো যেগুগুলো আমাদের দেহ কে সুস্থ্য রাখবে এবং পুষ্টিকর খাবার। চলুন স্বাস্থ্য টিপস এর এই পর্বে জানা যাক স্বাস্থ্য ভালো করার উপায় হিসেবে পুষ্টিকর খাবারগুলো সম্পর্কে।

পুষ্টিকর খাবারের তালিকা হলো
সকল প্রকার শাক-সবজি যেমন সবুজ শাক-সবজি
লাল রঙ্গের শাক-সবজি
ডিম
দুধ
সামদ্রিক মাছ
সিমিত মাছ-মাংস সহ ইত্যাদি জাতীয় খাবার
এছাড়াও সকল প্রকার তেল বা চর্বি জাতীয় খাবারগুলোকে এড়িয়ে চলতে হবে। কোনো ভাবেই সেই খাবারগুলোকে আহার করা যাবে না। কেননা চর্বিযুক্ত খাবারগুলো আমাদের দেহের ওজন বৃদ্ধি করার পাশাপাশি নানা ধরনের কঠিন রোগের সৃষ্টি করে থাকে। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অবশ্যই স্বাস্থ্য টিপসের পুষ্টিকর খাবারগুলো খেতে হবে।

লবণ কম খান
খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতে লবণ হলো মহামূল্যবান রত্ন। প্রাচীনকালের মুদ্রা ব্যবস্থায় কোনো একসময় লবণ ছিল অন্যতম মুদ্রা। তখন জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রেয়ের ক্ষেত্রে লবণকে প্রধান্য দেওয়া হতো। লবণ খাওয়া টেস্ট বৃদ্ধি করে ঠিকই কিন্তু একই সাথে সুখী জীবন-যাবনে কিছুটা বিঘ্নতাও ঘটায়। সে অপকারিতাগুলো হলো-

লবণ আমাদের দেহে থাকা সিমপ্যাথেটিক নার্ভ সিস্টেমকে অতি দ্রুত উদ্দীপিত করে। যা মোটেও কাম্য নয়।
লবণ হাই ব্লাড প্রেসারের অন্যতম একটি কারণ।
লবণ হাঁড়ের ক্ষতি করে। হাঁড় থেকে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম শুষে নেয়।
শরীরের দূষিত বর্জ্য পদার্থগুলোকে বের করতে বিঘ্নতা ঘটায়।
এছাড়াও আরো ‘অনেক প্রকার অসুবিধা রয়েছে লবণের। যা একজন অতিরিক্ত লবণ শোষণকারী এই সমস্যাগুলোতে পতিত হতে পারে। তাই উক্ত স্বাস্থ্য টিপস টি মান্য করে চলুন। কেননা এটি হলো স্বাস্থ্য ভালা করার অন্যতম একটি সহজ ‍উপায়।

সিঁড়ি ব্যবহার করুন
আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত বাসা-অফিসে অথবা আরো অনেক জায়গায় যেতে হয়। এমতো বস্থায় আমাদের উচিত উপরে কোথায় উঠতে এবং নিচে নামতে প্রতিনিয়ত সিঁড়ে ব্যবহার করা।

বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ দালানগুলোতেই লিপট রয়েছে। তাই আমরাও সহজ ও কম কষ্টসাধ্য একটি সুযোগ পেযে লিপট ব্যবহার শুরু করে দিই। তবে আমরা আমাদের শরীরকে নিজেই অসুস্থ্য করে তুলছি কিছু কিছু ছোট ভুলের মাধ্যমে। সিঁড়ি বেড়ে উঠার মাধ্যমে ফুসফুসের একটি সফ্ট ব্যায়াম হয়। যা সম্পূর্ণ শরীরের জন্য বেশ উপকারী।

একটানা কাজ থেকে বিরত থাকুন
স্বাস্থ্য টিপস এর পার্টটি হলো এক টানা সকল ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। দৈনন্দিন জীবনে চলমান কাজে স্বাস্থ্য ভালো করার অন্যতম একটি উপায় হলো এটি। বর্তমানে মোট জনসংখ্যার বিরাট একটি পার্ট আটা টু চারটা পর্যন্ত তাদের অফিস অথবা নিজেদের কাজ করে থাকে। তবে বেশিরভাগিই হলো অফিসের কাজ। এমনি যদি একটানা কেউ প্রতিদিন কাজ করে, তাহলে তাঁর স্বাস্থ্যগতভাবে অনেক বড় ধরনের এক পরিবর্তন আসবে। কেননা একটানা কাজ করা আমাদের মস্তিষ্কের জন্য মোটেও কল্যাণকর নয়।

মানসিক শান্তি বিনষ্ট করে থাকে এক টানা কাজ। মস্তিষ্কের নিউরণের ব্যাপক ক্ষতি-সাধন করে থাকে। এছাড়াও দেহ মনে অবসাদ তৈরি হবে। তাই এই সকল ক্ষতি অর্থাৎ মস্তিষ্কের নিউরণের সুস্থ্যতার জন্য এবং ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে একটানা কাজ পরিহার করতে হবে। এই জন্য কাজের মাঝে মাঝে একটু বিশ্রাম নিন। সামান্য হাঁটাহাঁটি করুন। এতে করে অবসাদ দূর হবে এবং ক্লান্তি ও দূর হবে। শরীরটা সামান্য হলে রিফ্রেস হবে। এভাবেই মূলত একটানা কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

বাহিরের খাবার পরিহার করুণ
আমাদের অধিকাংশের মধ্যে একটি অন্যতম বড় বদ-অভ্যাস হলো খোলামেলা বাহিরের খাবার গ্রহণ করার প্রতি আকর্সণ। আর এর ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরার জন্যই স্বাস্থ্য টিপস এর এই পার্টটি রাখা হয়েছে।

বাহিরের খাবারগুলো সাধারণত অতি তেল বা চর্বি জাতীয় হয়। যা আমাদের স্বাস্থ্যে জন্য অনেক ক্ষতিকর। এছাড়াও অতিরিক্ত তেল হার্টে ব্লক তৈরি করতে পারে। এছাড়াও ধূলা-বালিসহ নানা রকম মাছি থাকায় এগুলো থেকে আমাদের নানা রকম রোগ হতে পারে। যেমন ডায়রিয়া সহ কলেরা ইত্যাদি। কেউ কেউ বাসি মাংশ দ্ধারা বাহিরের খাবারগুলো তৈরি করে। যা আমাদের সুস্থ্য স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারক। এছাড়াও আরো অনেকগুলো কারণ রয়েছে বাহিরের খাবার খাওয়ার অপকারিতা হিসেবে। সুতরাং যতটুকু সম্ভব, বাহিরের খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে । তাহলে আমাদের দেহ ভালো থাকবে। এই স্বাস্থ্য টিপস টি মূলত যারা অতিরিক্ত বাহিরে খাওয়া দাওয়া করেন, তাদের জন্য প্রযোজ্য।

তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া ও সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা
বর্তমানে প্রজম্মের নিকট একটা ট্রেন্ড রয়েছে যে অতি রাত্রি করে ঘুমানো এবং সকাল বেলা অনেক দেরিতে ঘুম থেকে ‍উঠা। এটি মোটেও ভালো কোন ধরনের লক্ষণ নয়। কেননা এটি একজন ব্যক্তি ব্যর্থ করে তুলতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। বিজ্ঞানীরা রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো কয়েকটি উপকারিতা পেয়েছেন। চলুন সেগুলো জানা যাক।

তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপকারিতা
অতিরিক্ত দুচিন্তা কমে বা হ্রাস পায়।
অন্যের সাথে ভালো ব্যবহারের মানসিকতা তৈরি হয়।
সব কিছুতে সতর্ক থাকা যায়।
স্বাস্থ্য সম্মলিত পূর্বের ওজন ধরে রাখা যায়।
চেহারায় একটি গ্লামার তৈরি হয়।
এই উপকারিতাগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ যারা রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যায়। এছাড়াও আবার যারা দিনে খুব দেরিতে বা লেটে ঘুম থেকে উঠে। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বেং দিনের জন্য বেশ লম্বা একটি সময় পেতে এবং সকালের ফ্রেস বাতাস পেতে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ুন। আশা করি এর আনন্দ আপানারা উপভোগ করতে পারেন।

উপরোক্ত ১০টি স্বাস্থ্য টিপস সম্পর্কে এতোক্ষণ জানলাম। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে উপরোক্ত স্বস্থ্যটিপসগুগুলো জেনে নিয়ম মাফিক শরীরে ইমপ্লিমেন্ট করার পর বেশ ভালো একটি ফিল পাওয়া যাবে। আর উল্লেখিত স্বাস্ত্যটিপসগুলো হলো স্বাস্থ্য ভালো করার অন্যতম কিছু উপায়।
সূত্র: বাংলা টিপস

Print Friendly, PDF & Email