ডেস্ক: শীতের নানা উপহার ও উপাচার মানুষকে দেয় পরম প্রশান্তি অপরদিকে তীব্র শীত আনে দুঃসহ কষ্ট। প্রশান্তি ও কষ্ট- এই দুই ভাব নিয়ে বাঙালি কবি সারণ করেছেন শীতকে; কবিচিত্তের নানা আবেগ আর উপলব্ধি আর অভিজ্ঞানের বাণীমূর্তি শীতকে আশ্রয় করে প্রকাশিত হয়েছে।
আসি আসি করেও যেন শীত আসছে না। দেশের গ্রামাঞ্চলে শীতের উপস্থিতি টের পাওয়া গেলেও শহরাঞ্চলে তা নেই বললেই চলে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, পুরোপুরি শীত নামতে অপেক্ষা করতে হবে অন্তত আরও এক সপ্তাহ। তবে প্রকৃতিতে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। তাপমাত্রা নেমেছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে কম। আবার দেশের অন্যত্র তাপমাত্রার পারদ বাড়তিও দেখা গেছে ৩২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) আবহাওয়ার পূর্বাবাস জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পরতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, এই সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। তবে বর্ধিত ৫ দিনের মাথায় গিয়ে শীতের দেখা পাওয়া যেতে পারে।
এরইমধ্যে দেশের গ্রামাঞ্চলে এরই মধ্যে শীতের আমেজ দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা কমেছে। রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, ডিমলা,রাজারহাট, শ্রীমঙ্গল, যশোর, চুয়াডাঙার তাপমাত্রা ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ম ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেডর্ক করা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কক্সবাজারে ৩২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে মৌসুমের লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও এর কাছাকাছি এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত।
এ বিভাগের আরো..
প্রতিনিয়ত বুড়িগঙ্গার দূষণ আরও বিস্তৃত হচ্ছে
উপকূলীয় মানুষকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করছে সামাজিক ম্যানগ্রোভ বনায়ন
পানিতে উচ্চ লবণাক্ততা উপকূলীয় নারীদের মারত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে