রুকন উদ্দিন, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা): শাপলা আমাদের দেশের সবার প্রিয় জাতীয় ফুল। দেশের যেকোন ডোবা এবং নালায় শাপলা ফুল জন্ম নিয়ে সবার দৃষ্টি আকৃষ্ট করে। কিন্তু আফসোসের বিষয় প্রকৃতির প্রতিকূল পরিবেশের প্রভাবে এক সময়ের খাল বিল, হাওর, জলাশয় এবং ডোবায় ভর্তি বাতাসে হেলেদুলে শাপলা ফুলের সেই সমারোহ আর আগের মতো চোখে পড়ে না। দিন যতই যাচ্ছে শাপলা ফুল যেন বিলুপ্তির পথে প্রায়। অথচ ১০-১৫ বছর আগেও হাওর, বড় বড় দিঘীতে এবং খাল বিলের বিশাল বুক জুড়ে শাপলা ফুলের দৃষ্টি নন্দন সৌন্দর্য এবং প্রকৃতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শরৎকালে দিঘিতে ও বিলের বুক জুড়ে শাপলা ফুলের প্রকৃতির সৌন্দর্য অন্য রকম সাজে সেজে উঠত। সকালে ঘুম থেকে উঠলেই দেখা যেত চারদিকে ফুটন্ত সাদা শাপলার সমারোহ। মনে হতো এ যেন শাপলা ফুলের আরেকটি জগৎ।জাতীয় ফুল শাপলা শুধু পরিবেশ ও প্রকৃতির সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করেনা এর রয়েছে অনেক পুষ্টি গুণ।
এছাড়া এ ফুলের গাছ, শিকড় ও মাথা সব গুলোই দরকারী। শাপলার নরম ডাঁটা, মাথা ও গোড়ায় জন্ম নেয়া ড্যাপ এবং শালুক সবই মুখরোচক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য উপাদান। শাপলার গাছ বা ডাঁটা পানির গভীরতায় সাধারণত ১০ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়।
তাছাড়াও শাপলার ডাঁটা তরকারি হিসেবে বেশ জনপ্রিয়।
শাপলা সাধারণত দিঘী বা বিলে বেশি ফুটে থাকে। তখন গ্রামের কোমল মতি ছেলে-মেয়েরা সাঁতার কেটে এই ফুল তুলে আনত। শাপলার ডাঁটাকে দুভাবে কেটে এবং ফুলটিকে নিচের দিকে ঝুলিয়ে মালার মতো করে একজন অপরজনকে গলায় পড়িয়ে দিত।
আগাছা নিধনের বিষ প্রয়োগ, জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন, সঠিক সময়ে বন্যা না হওয়া, আবাদি জমিতে অপরিমিত কীটনাশক ও রাসায়নিক সার প্রয়োগে অনেক শাপলা বীজ বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে নতুন করে আর শাপলার গাছ জন্ম হচ্ছে না।
এ বিভাগের আরো..
প্রতিনিয়ত বুড়িগঙ্গার দূষণ আরও বিস্তৃত হচ্ছে
উপকূলীয় মানুষকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করছে সামাজিক ম্যানগ্রোভ বনায়ন
পানিতে উচ্চ লবণাক্ততা উপকূলীয় নারীদের মারত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে