April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, প্রাইভেটকার জব্দ

ডেস্কঃ  মাদকাসক্তি একটি বহুমাত্রিক সামাজিক সমস্যা। যে যুব সমাজ দেশ ও জাতির আগামী দিনের চালিকাশক্তি, তাদের একটি অংশ মাদকাসক্তির কবলে পড়ে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ছে। মাদকাসক্ত তরুণরা কর্মশক্তি, মেধা ও সৃজনশীলতা হারিয়ে নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও আদর্শ হতে বিচ্যূত হয়, যা দেশ ও জাতির জন্য বয়ে আনে অপূরণীয় ক্ষতি। র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময়ই মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এবং এই পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ দেশী/বিদেশী অবৈধ মাদক উদ্ধার করে সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত মাদক পরিবহনে নিত্য নতুন ও অভিনব কৌশল অবলম্বন করে আসছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাদক পাচারের ট্রানজিট হিসেবে রাজধানী ঢাকাকে ব্যবহার করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। ভারত এবং মিয়ানমার হতে গাঁজার চালানগুলো এনে সড়ক, রেল ও বিমানপথে ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। র‌্যাব এ সকল মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১২/০৬/২০২০খ্রিঃ তারিখ ১৩.৫০ ঘটিকায় র‌্যাব-২ এর আভিযানিক দল মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ০১ টি প্রাইভেটকার যোগে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী পরষ্পর যোগসাজসে নিষিদ্ধ গাঁজা নিয়ে মিরপুর রোড হয়ে ধানমন্ডি এলাকায় বিক্রয়ে উদ্দেশ্যে আসছে। প্রাপ্ত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে র‌্যাবের আভিযানিক দল ১৪.০৫ ঘটিকায় ঢাকা মহানগরীর ধানমন্ডি থানাধীন রোড-০৭, বাসা নং-৩৩/এ এর সামনে পাকা রাস্তার উপর উপস্থিত হয়ে প্রাইভেট কারটি আটকের অপেক্ষায় ওৎ পেতে থাকে। অতপর ১৪.২০ ঘটিকায় প্রাইভেটকারটি ঘটনা স্থানে পৌঁছালে থামার জন্য সংকেত দিলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রাইভেটকার থামিয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে আসামী ১। মোঃ বাবুল (৩০), এবং ২। শাহিদা আক্তার (৫০)’দ্বয়কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিঞ্জাসাবাদে তাদেও প্রাইভেটকারের পিছনের বক্সে নিষিদ্ধ গাঁজা আছে বলে স্বীকার করে। তাদের দেয়া তথ্য মতে প্রাইভেটকারের পিছনের বক্সেও ভিতর ২৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে, যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ৪,৩৫,০০০/- (চার লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার) টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায়, তারা পরষ্পর যোগসাজোসে দীর্ঘ দিন যাবৎ সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক ক্রয় কওে প্রাইভেটকার যোগে বিভিন্ন মালামাল পরিবহনের অন্তরালে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা সুকৌশলে ঢাকায় নিয়ে এসে সরবরাহ ও বিক্রয় করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায়, বর্তমান যুব সমাজে গাঁজার ব্যাপক চাহিদা থাকায় চড়া দামে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তারা পরস্পর যোগসাজোসে সীমান্তবর্তী জেলা হতে মাদক সংগ্রহ করে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নিত্য নতুন কৌশল ব্যবহার করে (নিষিদ্ধ মাদক) রাজধানীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ ও বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতেও এ ধরনের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উপরোক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আসামীর নাম ও ঠিকানাঃ
ক। মোঃ বাবুল (৩০) ,পিতা- মৃত মনির হোসেন, সাং- বশিরকোলা, থানা-সাভার, জেলা- ঢাকা।
খ। শাহিদা আক্তার (৫০), স্বামী- মৃত কাওছার, পিতা- মৃত রাজ্জাক, সাইনবোর্ড, কামারজুড়ি স্কুল, সাইদুল এর বাসা, থানা-গাছা, জেলা- গাজীপুর।
উদ্ধারকৃত মালামাল: ক। গাঁজা-  ২৯কেজি, খ। প্রাইভেটকার- ০১ টি, গ। মোবাইল- ০১ টি, ঘ। সীমকার্ড- ০২ টি েএবং  ঙ। নগদ- ৯০০০/- টাকা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
Print Friendly, PDF & Email