May 15, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

ঈদে ঘর থাকবে সাজানো পরিপাটি

ডেস্ক: আর কয়েকদিন পরেই তো ঈদ। এরই মধ্যে নিজের আর প্রিয়জনের জন্য পোশাক, উপহার কেনা শেষ বেশিরভাগেরই। এদিকে নিজেকে সাজানোর সব প্রস্তুতিও শেষের পথে। ঈদে নিজেকে সাজাবেন, রান্নাবান্নার বিশাল আয়োজন করবেন, সেই সঙ্গে আপনার প্রিয় আবাসস্থল ঘরটিকে নতুনভাবে সাজাবেন। তাই ঈদের আগেই প্রস্তুতি নিন আপনার প্রিয় বাড়িটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে নিতে।

ঘর সাজানো মানেই অনেক খরচ নয়। স্বল্প খরচেই সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার ঘরের পরিবেশ। একটুখানি বুদ্ধি খাটালে আপনার সাদামাটা ঘরটিও হয়ে উঠবে জমকালো। সেইসঙ্গে মিলবে আপনার রুচিশীলতার পরিচয়।

খুব বেশি খরচ নয়
আমরা অনেকেই ভাবি ঘর সাজাতে বুঝি বেশকিছু টাকা খরচ হবে। ঈদের এতো প্রস্তুতি নিতে গিয়ে হয়তো ঘর সাজানোর জন্য বাজেট আলাদাভাবে করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু ঘর সাজাতে এমন বেশি কোনো খরচই হয়না। একটু বুঝেশুনে পরিকল্পনা করে নিলেই সম্ভব। এজন্য প্রথমে অবশ্যই নিজের সুরূচিবোধকে জাগিয়ে তুলতে হবে। সৃজনশীল চিন্তা ও আপনার মননশীলতাকে একটু কাজে লাগান। মাটির তৈরি জিনিসপত্র, হালকা পেইন্টিং, নতুন কোনো বাতি বা লাইট, কিংবা সবুজ গাছ পালা দিয়ে খুব সহজেই গুছিয়ে নেয়া যায় নিজের ঘর। তবে কীভাবে সাজাবেন সেটা নির্ভর করবে আপনার ঘরটির আয়তনের ওপর।

বসার ঘরটি সাজান
ঈদে যেহেতু অতিথি আসবে তাই সবচেয়ে আগে প্রাধান্য দিন আপনার বসার ঘরকে। ঈদে অতিথিরা বসার ঘরেই বেশি সময় কাটাবে। আসবাবপত্রে একটু হালকা-পাতলা বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে পারেন। খানিকটা দেশীয় পরিবেশ আনতে চাইলে বাঁশ ও বেতের চেয়ার টেবিল দিয়ে সাজাতে পারেন। ঘরটা ঝলমলে করে তুলতে নকশা করা বাতি কিনে নিতে পারেন। লাগিয়ে নিতে পারেন সুন্দর কোনো ঘড়িও। কোণের টেবিলে রাখুন ঝকমকে কোনো ফুলদানি আর তাজা ফুল।

খাবার ঘরকে অবশ্যই সাজান
অতিথিকে অবশ্যই আপ্যায়ন করতে হবে, তাই আপনার বসার ঘরটিকে আলাদা করে সাজান। নতুন কোনো ডাইনিং টেবিল-চেয়ার সেট, তা, আলমারি কিনে ফেলতে পারেন। খাবার টেবিলের মাঝখানে ঝুড়িতে কিছু তাজা ফলমূল রাখুন। টেবিলের কাভারটা একটু হালকা রঙের রাখতে পারেন। তাতে অ্যামব্রয়ডারির কিছু কাজ থাকলে ভালো হয়। জানালা-দরজায় উজ্জ্বল পর্দাও রাখতে পারেন।

নজর দিন বেডরুমেও
ঈদে অতিথিরা হয়তো আপনার বেড রুমও দেখবে। শোবার ঘরের বেড শিটটা পর্দার রঙের সাথে মিলিয়ে কিনুন। একটি বা দুইটি পেইন্টিং টানান। ঘাটের উপরের দিকে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন ছোট একটা বুক সেলফ। এছাড়া স্ট্যান্ড লাইট আর ফুলদানি বেড রুমকে করবে আকর্ষণীয়।

আপনার ছোট্ট বারান্দাটাও সাজান
আজকাল তো একট বাড়িতে বারান্দার সংকট খুব বেশি। যতোটুকু বারান্দাই থাক না কেন, সেটাকেও সাজিয়ে ফেলুন মনের মতো করে। বেলকনিতে রাখুন কিছু গাছপালা। মাঝে সাজিয়ে রাখুন একটা কফি টেবিল আর হেলানো চেয়ার।

আপনার রান্নাঘর
আপনার অতিথি এবং পরিবারের জন্য স্পেশাল খাবার দাবারের আয়োজন করবেন, রান্নাধরটাকেও সাজান তাহলে। নতুন কোনো রান্নার সরঞ্জামাদি কিনে নিতে পারেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো পরিস্কার করে রাখতে হবে আপনার পুরো রান্নাঘরটি।

আর এসব সাজানো-গোছানোর কাজে যে খুব বেশি কষ্ট বা কেনাকাটায় খুব ঘোরাঘুরি করতে হবে এমনটা নয়। ঢাকার দোয়েল চত্বর, ঢাকা কলেজের সামনে, মিরপুর রোডের কলাবাগান, ধানমন্ডির বিভিন্ন শোরুমেই ঘর সাজানোর বিভিন্ন উপকরণ পাওয়া যাবে। আপনার মনের মতো করে ঘরটিকে সাজান ঈদে।

গৃহসজ্জার অর্থ যদি হতো রুচিশীল শৈলীতে ঘর সাজানো, তাহলে আর অর্থ ব্যয় করে ইনটেরিয়র ডিজাইনারকে ডাকার প্রশ্নই উঠত না। আপনি নিজেই অনায়াসে আপনার ঘর সাজানোর ব্যবস্থা করতেন। কিন্তু গৃহসজ্জার গোপন মন্ত্রটি হলো রুচিশীলতার সঙ্গে ব্যবহারিক সুবিধার সমন্বয়। তাই আপনার সাধের বাড়িটি শুধু মাথা গোঁজার ঠাঁই নয়, উপভোগ করার স্থানও বটে।

নিজের ঘর নিজের মনের মতো করে সাজানোর অভিজ্ঞাতাটাই হয় অন্যরকম। নিজের সাজানো গোছানো ঘরবাড়ি দেখে অন্যেরা যখন মুগ্ধ হয় আর প্রশংসা করে তখন কার না ভালো লাগে? সূত্র: অনলাইন

Print Friendly, PDF & Email