April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

থানায় অভিযোগ দিয়ে ফেরার পথে সন্ত্রাসীর হামলায় আহত ৩

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদরের নারানজোল এলাকায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা তিন যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।

এর তিন ঘন্টা আগে প্রথম দফায় মারপিটের ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করে ফেরার পথে দ্বিতীয় দফায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে ইজিবাইক চালক মশিউর রহমান(৩৫), যুবলীগ নেতা ব্যবসায় ইমরান হোসেন (৩২) ও বান্না নামের তিন যুবক।

রোববার রাতে সদর উপজেলার নারজোল বাজারে বাড়ী ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় আহতরা। তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, মশিউর রহমানর অবস্থা আশংকা জনক। আহতদের বাড়ী সদর উপজেলার হরিশপুর গ্রামে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন যুবলীগ নেতা ইমরান হোসেন জানান, নারানজোল এলাকার বাবুল হোসেন, টুটুল, সোহরাব হোসেন, কয়েকজন হরিশপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক মশিউর রহমানকে রোববার বিকেলে নারনজোল বাজারে বেধড়ক মারপিট করে। এঘটনায় সন্ধ্যায় মশিউর রহমান একটি হামলাকারী বাবুল, সোহরাবসহ কয়েক জনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ করে। রাতে থানা থেকে বাড়ী ফেরার পথে নারানজোল বাজারে পৌছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা বাবুল বাহিনী তাদের মটরসাইকেল গতিরোধ করে দ্বিতীয় দফায় লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় বাজারে সদর থানার দুই কর্মকর্তা আই মিরাজ হোসেন ও এস আই ইব্রাহিম হোসেন উপস্থিত থাকলেও এগিয়ে আসেনি।

আহত মশিউর রহমান জানান, বিকেলে তার উপর হামলাকারী বাবুল ও সোহরাব হোসেন দুই জনই ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার সোর্স। তারা এলাকায় চোরাচালান ও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে। পুলিশ কর্মকর্তার সেল্টারে থাকার কারনে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।

এদিকে এস আই মিরাজ হোসেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনিসহ এসআই ইব্রাহিম হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই এলাকায় একটি অভিযানে যাচ্ছিলেন। এমন সময় মশিউর রহমানসহ তিন যুবক নারানজোল বাজারে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার জন্য দাড়িয়ে ছিল। হঠাৎ ওই দোকানের ভিতর থেকে বাবুল নামের এক যুবক বেরিয়ে তাদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায় চায়ের কাপ দিয়ে বাবুল মশিউর রহমানের মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। এর পর উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি মারামারির ঘটনা ঘটে।

এসআই মিরাজ আরও জানান, তার সাথে বাবুলের কোন পূর্ব পরিচয় নেই। তিনি জানান বাবুলের ভাই সোহরাব হোসেন তাদের(পুলিশের) সোর্স হিসেবে কাজ করেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হাসান জানান, ঘটনা জানার পর হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ দিলে মামলা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email