April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

প্রতীকী ছবি

মেনোপোজ ও মধ্যবয়সের সম্পর্ক

 প্রথমকথা ডেস্ক: জন্ম যেমন আছে, তেমনি বার্ধক্য ও মৃত্যুও আছে। মেয়েদের বয়ঃসন্ধি কালে পিরিয়ড শুরু হয় এবং একটা সময় শেষ হয়। শুরুটাও যেমন ভয়ে ভয়ে থাকে,শেষটাতেও এরকম কিছু দুশ্চিন্তা ভর করে মহিলাদের। সাধারণত ৪৫-৫৫ বছর বয়সের মধ্যে মেনোপোজ হয়ে থাকে। তবে অনেকের ৪০ এর পর পরই হয় আবার অনেকের ৫৫ এর পরেও হয়। অনেকের জরায়ু কেটে ফেলা হয়, তখন নারীদের ঋতু স্রাব বন্ধ হয়ে যায়। মেনোপোজ একটি স্বাভাবিক ঘটনা, এতে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। শুধু কিছু দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যখন অপারেশন করা হয় তখন যদি জরায়ু ও ওভারি দুটোই কেটে ফেলা হয়, সে ক্ষেত্রে বয়স যেটাই হোক না কেন মেনোপোজের উপস্বর্গ প্রকাশ পেতে শুরু করবে।

উপস্বর্গ: যেসব লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন মেনোপোজের সময় এগিয়ে আসছে…

সবচেয়ে বেশি:

  1. হট ফ্ল্যাশ বা নাকে মুখে গরম ভাপ লাগা মনে হবে।

  2. রাতে বা দিনে যে কোন সময় ঘুমের মধ্যে প্রচন্ড ভাবে ঘেমে উঠতে পারে।

  3. কখনো হাত, গলা, বুক ও পিঠে লাল দাগ দেখা দিতে পারে।

  4. প্রচণ্ড গরমের পর পরই শীতে পুরো শরীর কেপে কেপে উঠতে পারে।

  5. বুক ধড়ফড় করা।

  6. অনিয়মিত পিরিয়ড।

  7. লিবিডো কমে যাবে।

  8. জরায়ু শুকনা বলে মনে হবে।

  9. বুকে ব্যাথা বা চাপ অনুভব হতে পারে।

আরও যেসব লক্ষন প্রকাশ পায়:

  1. ওজন বাড়তে পারে,তাই খাদ্য তালিকা পরিবর্তন করতে হবে।

  2. অকারনে উত্তেজিত হবে।

  3. নার্ভাসনেস।

  4. রুক্ষ ও খিটমিটে মেজাজ

  5. খাবারে অরুচি ও বদহজম।

  6. ইস্ট্রজেন হরমোন কমে যাওয়ায় ঘন ঘন ইনফেকশন হতে পারে।

  7. প্রস্রাব বেশিক্ষন ধরে রাখতে না পারা।

  8. হাত পায়ের নখ ভংগুর হয়ে যেতে পারে।

  9. জয়েন্ট বা মাংসপেশী শক্ত হয়ে উঠতে পারে ও ব্যাথা অনুভব হতে পারে।

  10. চুল কমে যেতে পারে

  11. সবসময় একটা ঘোরের ভাব থাকতে পারে।

  12. চুলকানি হতে পারে।

  13. কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

  14. আবেগপ্রবণতা বাড়তে পারে।

  15. মুত্রনালীতে ইনফেকশন হলে জোরে জোরে হাসির সময় ফোটা ফোটা প্রস্রাব গড়িয়ে পড়ার উপস্বর্গ দেখা দিতে পারে।

  16. স্তন ছোট হয়ে যেতে পারে।

  17. ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

  18. কেমোথেরাপি ও ক্যান্সার হলে মেনোপোজের সময় এগিয়ে আসতে পারে।

  19. হার্ট বিট বেড়ে যেতে পারে।

সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়, অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয় রোগের সম্ভবনা বেড়ে যায়। ইস্ট্রজেন হরমন যেটা নিয়ন্ত্রন করে।

প্রতিকার:

  1. শরীরের প্রতি যত্ন নিতে হবে।

  2. সুষম খাদ্য গ্রহন করতে হবে।

  3. নিয়মিত কম চর্বি যুক্ত খাবার খেতে হবে।

  4. বেশি প্রোটিন ও আশ যুক্ত খাবার খেতে হবে।

  5. বেশি পরিমানে ফলমূল শাকসবজি খেতে হবে।

  6. ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সম্বৃদ্ধ খাদ্য খেতে হবে।

  7. ওজনটা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে হবে।

  8. হট ফ্ল্যাশ বা নাইট সোয়েট হয় তাই  হালকা কাপড় পরিধান করা ভালো।

  9. রাতে ঘুমানোর আগে চা, কফি, ধুম্পান থেকে বিরত থাকা।

  10. আর খুব বেশি সমস্যা হলে, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সূত্র: প্রিয়.কম

Print Friendly, PDF & Email