May 16, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

বাংলাদেশে তৈরি জাল রুপির ‘প্রচুর চাহিদা’ ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  ১০ হাজার টাকা লাভে এক লাখ জাল রুপি বিক্রি হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশে। ভারতীয় সিন্ডিকেটই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি জাল টাকা কারবারীর মাধ্যমে জাল রুপিগুলো ভারতে পাচারের ব্যবস্থা করছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, বাংলাদেশে তৈরি জাল ভারতীয় রুপির ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচুর চাহিদা। সেখানে জাল রুপি কারবারীরা সুকৌশলে আসল রুপির সাথে জাল রুপি চালিয়ে দিচ্ছেন। সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন। এরআগে গত রোববার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের একটি টিম।

গ্রেফতাররকৃতরা হলেন- মো. হুমায়ুন কবির, মো. সাইফুল ইসলাম, স্বপন দত্ত এবং মো. সাইদুর রহমান। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ৩০ লাখ জাল ভারতীয় রুপি, প্রিন্টার, কার্টিজ (বিশেষ কাগজ), স্কেল গ্লাস স্কীন এবং প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়।

আবদুল বাতেন বলেন, গ্রেফতারকৃত হুমায়ুন জানিয়েছেন তিনি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জাল টাকা ও পরবর্তীতে ভারতীয় জাল রুপি তৈরি বিপণন করে আসছিলেন। জাল টাকার গুরু হিসেবে খ্যাত দুরুজ্জামানের হাত ধরেই হুমায়ুন এই পথে আসেন। জাল রুপি তৈরি ও বিপণনে হুমায়ুনের আপন ছোট ভাই কাওসার, সাইফুল ও সাইদুর মিলে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে গ্রেফতারকৃত সাইদুর জাল রুপি তৈরির পেপার বিশেষ প্রক্রিয়ায় সালিড প্রয়োগ করে প্রস্তুত করে। সাইদুরের তৈরি জাল টাকার বিশেষ পেপার প্রতি পিস তিন থেকে চার টাকা কেনেন হুমায়ুন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এ যুগ্ম কমিশনার আরও বলেন, জাল টাকা তৈরি এবং বিপণন একটি ‘টেকনিক্যাল’ বিষয় এবং বিশেষজ্ঞের কাজ। হুমায়ুন একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাদের নিজস্ব আইনজীবীও রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হলে ওই আইনজীবীরাই টাকা ছাড়াই জামিন করিয়ে দেন। পরে তারা জামিনে বেরিয়ে আয় করে আইনজীবীদের টাকা পরিশোধ করেন। ওই আইনজীবীরাও বেশ ‘ডেডিকেটেড।’

আবদুল বাতেন বলেন, তাদের তৈরি করা জাল রুপি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাচার করা হয়ে থাকে। সেখানে একটি গরুর হাট রয়েছে। সেখান থেকেই মূলত ভারতীয় জাল রুপি বিক্রি করে থাকেন এই চক্রটি। গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আগে পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে ভারতে জাল রুপি আসতে। বর্তমানে সেই রুট কঠিন হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে জাল রুপি কিনতে পারে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।

Print Friendly, PDF & Email