আনন্দ গুপ্ত, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে নিখোঁজের চারদিন পর গতকাল সোমবার পুকুরের পানি থেকে একরামুল হক (২৮) নামের নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একরামুল হক উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের তালপাড়া গ্রামের পাশার উদ্দিনের ছেলে।
নিহত একরামুল হকের বড়ভাই শাহানুর ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৫মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পুখুরি বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে একরামুল হক বেড়িয়ে যান। দীর্ঘ সময়েও বাড়িতে ফিরে না আসায় বাড়ির লোকজন ওই রাতেই পুখুরি বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গত দুইদিন ধরে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত শনিবার (১৭মার্চ) থানায় একরামুল হকের স্ত্রী তানিয়া আক্তার বাদি হয়ে স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার একটি সাধারণ ডাইরি করেন। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পুখুরি কামারপাড়া গ্রামের পুকুরের পানিতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পরে শাহানুর ইসলাম নিখোঁজ ছোটভাই একরামুল হকের পরনের লুঙ্গি দেখে তার মরদেহ সনাক্ত করেন।
একরামুল হকের বোন জামাতা জাকির হোসেন বলেন, জমিতে বৈদ্যুতিকের সংযোগ ও জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরেই প্রতিপক্ষরা একরামুল হককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. মানিক রতন বলেন, পুকুরে মরদেহ ভেসে থাকার বিষয়টি জানার পরপরই ঘটনাস্থলে যান। সেখানে একরামুল হকের বড়ভাই সেই মরদেহ সনাক্ত করায় জানা যায় সেটি নিখোঁজ একরামুল হকের মরদেহ। একরামুলের সাথে এলাকার কিছু লোকের দীর্ঘদিন থেকে জমিজমাসহ বৈদ্যুতিক সংযোগকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাসিম হাবিব বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং একই সাথে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযানও শুরু করা হয়েছে। নিহত একরামুল হক নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে গত শনিবার (১৭মার্চ) তার স্ত্রীর থানায় একটি সাধারণ ডাইরি দায়ের করেন।
এ বিভাগের আরো..
সাবেক বিচারপতি আবদুল আউয়ালের ইন্তেকাল
দুই সিটির নবনির্বাচিত মেয়ররা শপথ নিলেন
কয়রায় জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত