April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ডেস্ক: ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মো. মোতালেব হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন ও লেকহেড স্কুলের পরিচালক খালেক হাসান মতিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা-ডিবি। আজ মঙ্গলবার তাদের আদালতে তোলা হবে।

গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করেন ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম মৃধা। মামলা নম্বর ৩৬। বনানী থানার পরিদর্শক তদন্ত বোরহান উদ্দিন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গত রোববার রাত সাড়ে আটটায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ নাসিরউদ্দিনকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর মোতালেবকে একই সময়ে বছিলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ওই দিন রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমানগণ মাধ্যমকে বলেছিলেন, টাকাসহ গ্রেপ্তার নাসিরউদ্দিনের সঙ্গে যোগসূত্র থাকায় মোতালেবকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর ডিবি গতকাল সোমবার জানায়, জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে বন্ধ রাজধানীর লেকহেড গ্রামার স্কুল ঘুষের বিনিময়ে চালু করে দিতে চেয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রীর পিও মো. মোতালেব হোসেন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী নাসিরউদ্দিন।

এ জন্য তারা স্কুলটির মালিকের কাছ থেকে ঘুষও নিয়েছিলেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি।

গ্রেপ্তারের প্রায় ২৪ ঘণ্টা হয়ে গেলেও গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই দুজনকে আদালতে তোলা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার তাদের আদালতে তোলা হবে।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন গতকাল বলেন, জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিক খালেদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর মোতালেব হোসেন ও নাসিরউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে খালেদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে। জঙ্গি সম্পৃক্ততায় বন্ধ হওয়া এই স্কুল চালু করে দেওয়ার নামে এই দুজন ঘুষ নিয়েছিলেন।

এই ২ জনকে আদালতে না তোলার বিষয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গতকাল তারা বেশ কিছু অভিযান নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তবে এ দুজনকে নিয়ে অভিযান চালানো হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।

ওই দুজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল বলেন, পুলিশ ও ডিবি কাউকে ধরলে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই ধরে।

এ ঘটনা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে দুই দফায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিলে নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। যেকোনো অপরাধ, বিশেষ করে ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম হলে তার ব্যবস্থা সরকার নেবে। মন্ত্রণালয়ের ওপর যতটুকু পড়বে, তা নেবে। তারা এখানে কাজ করে বলে মোটেই সহযোগিতা দেওয়া হবে না। মন্ত্রণালয় চাকরির বিধিবিধান অনুসারে যা ব্যবস্থা নেওয়ার, তা নেবে।

Print Friendly, PDF & Email