ডেস্ক: রাজশাহীর তানোর উপজেলার মন্ডুমালার পাঁচন্দর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের ওই জঙ্গি বাড়িটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে বাড়ির ভেতরে আরও বিস্ফোরক রয়েছে।
তাই এগুলো উদ্ধার ও নিস্ক্রিয় করার জন্য ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে ডাকা হয়েছে। দুপুরের মধ্যে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছালে সেগুলো উদ্ধার ও নিস্ক্রিয় করার পর অভিযান সম্পন্ন হবে।
বর্তমানে ওই বাড়ির এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে জনসাধারণের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। লাল নিশান দিয়ে আশ-পাশে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, ওই জঙ্গি বাড়ি থেকে তিনজনকে আটকের পর নারী ও শিশুসহ আরও নয়জনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সবাইকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে সকালে পুলিশ দ্বিতীয় দফায় ওই বাড়িতে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। তবে ওই বাড়িতে আর কাউকে পাওয়া যায়নি। এনিয়ে ওই বাড়ি থেকে মোট ১২জনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হলো। এর আগে আটক তিনজন হলেন রমজান আলীর ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (৩৫) ও ইসরাফিল আলম (২৬) ও জামাতা রবিউল ইসলাম (২৫)। তারা নব্য জেএমপির সদস্য। তাদের তানোর থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অভিযান শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বর্তমানে রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়াসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সুমিত চৌধুরী বলেন, রবিবার গভীর রাতে অভিযানের সময় ওই বাড়ি থেকে দু’টি সুইসাইডাল ভেস্ট, পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ একটি ৭.৬২ মডেলের বিদেশি পিস্তল ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়িতে এখন আর কেউ নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে বাড়ির মধ্যে আরও বিস্ফোরক থাকতে পারে।
এ বিভাগের আরো..
সাবেক বিচারপতি আবদুল আউয়ালের ইন্তেকাল
দুই সিটির নবনির্বাচিত মেয়ররা শপথ নিলেন
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরও সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী