May 17, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

তাইমুর মাহমুদ শমীক: বয়স নব্বই বছরের কিছু বেশি। এই বয়সে নাতি নাতনিদের রূপকথার গল্প শুনাবার কথা।
সেই ১৯৭৩ সালে ফ্যামিলি প্ল্যানিং এর অধীনে স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে ভেঙেছেন সমাজের প্রচলিত রীতি।
তারপর সাইকেল চালাতে চালাতে কেটে গেলো ৪৪ টা বছর ! আজো অপ্রতিরোধ্য আছেন। নিজ গ্রাম দুলালীসহ আশেপাশের গ্রামগুলোতে বুড়োপবিত্র হাসিমুখে স্বাস্থ্যসেবা, পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
কারো কাছে জহিরন দাদি, কারো কাছে নানি বা আপা; আদতে মায়ের মতো ভালো এই মানুষটা বলেন, “আদিতমারী উপজেলার ৩০টি গ্রামে দু’ হাজারের বেশি পরিবারের সঙ্গে রয়েছে আমার নিবিড় যোগাযোগ।”
ভালোবাসা দিয়ে গ্রামের পর পর গ্রাম জয় করে নেয়া মানুষটার কথায়, হাসিতে পাওয়া যায় বাঙালি প্রতিটি নারীর হৃদয়ের আসল প্রতিচ্ছবি।
সবার কথা বলছিনা। সোশ্যাল মিডিয়াতে এসে অনর্থক হাহুতাশ করা আদতে ডিপ্রেশনে ভোগা গুটিকয়েক বিভ্রান্ত নারীরা এই মায়ের কাছ থেকে উদ্যম ধার করে নিতে পারেন।
শুধু নিজেকে না ভালোবেসে আশেপাশের মানুষগুলোকে মায়ামমতা দিয়ে আগলে রেখেও গোটা একটা জীবন দিব্বি কাটিয়ে দেয়া যায়।
মুখের কথায় যেমন চিড়ে ভিজেনা। মানসিকতা পরিবর্তন না করে
জহিরন দাদির মতো সাইকেলের প্যাডেল না ঘোরালে মনে কখনো শান্তিও আসেনা।
এখানে সেখানে বড় বড় কথা বলা বন্ধ করে সাদাসিধে সুন্দর মানবিক বেঁচে থাকাটাকে অন্তরে ধারণ করে দেখুন। ফোকলা দাঁতের নিঃস্বার্থ হাসির মতো সুখ আসবেই।

Print Friendly, PDF & Email