অন্তত ছয় মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ম্যানোলাডায় ২০১৩ সালের এপ্রিলে স্ট্রবেরি ক্ষেতের শ্রমিকরা আন্দোলন করেন। এতে গুলি চালায় মালিকপক্ষ। যাতে গুরুতর আহত হন মোহাম্মাদ নামে একজন শ্রমিক। আরও আহত হন ২৮ বাংলাদেশি।
ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গে অবস্থিত ‘দ্য কাউন্সিল অব ইউরোপ’র- কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস’ এই রায়ে বলেছেন, গ্রিস সরকার ভুক্তভোগীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে৷ ৪২ জন শ্রমিককে ১২-১৬ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ওই ঘটনার পরপরই দেশটির আদালতে মামলা করা হয়েছিল। তখন রায়ে দুই ব্যক্তিকে শাস্তি দিলেও তারা তখন জামিনে মুক্ত হন এবং সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলও করেন। সেসময় কোনো অপরাধ খুঁজে পাননি আদালত৷ তাই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি।
রায় শোনার পর গুলিতে আহত শ্রমিকদের পক্ষের আইনজীবী ময়সিস ক্যারাবেইডিস সেই সময় বলেছিলেন, ‘গ্রিক হিসেবে আমি লজ্জিত৷’
গ্রিসের আদালতে ন্যায্য বিচার না পাওয়ায় ইউরোপের আদালতে বিষয়টি তোলা হয়৷ মানবাধিকার আদালতে মামলার বাদী মোর্শেদ চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রাসবুর্গে দেয়া রায়কে স্বাগত জানিয়েছে৷ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আজকের রায়ে অত্যন্ত খুশি৷ জোরপূর্বক কাজ করানোর অভিযোগ থেকে গ্রিসের খামার মালিককে রেহাই দেয়ায় গ্রিসের আদালতের সিদ্ধান্তে আমরা অত্যন্ত হতাশ হয়েছিলাম৷ আমরা আশা করছি, গ্রিক সরকার আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেবে এবং গ্রিসের অর্থনীতিতে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেবে৷’
অন্যদিকে অ্যামনেস্টির গৌরি ফন গুলিক বলেন, ‘২০১৩ সালে সেই ঘটনার পরপরই শোষণের শিকার অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের সাক্ষাৎকার নেয় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং আমাদের হয়ে তাদের জীবনমান যাচাই করে৷’
উল্লেখ্য, গ্রিসে অবস্থানরত বিদেশি শ্রমিকদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশি রয়েছেন৷ এদের একটি বড় অংশ দেশটিতে অবৈধভাবে কাজ করছেন৷
এ বিভাগের আরো..
রোজাদারের ইফতার নিয়ে প্রবাসীর দুয়ারে বাংলাদেশ দুবাই কনসুলেট
দুই সিটির নবনির্বাচিত মেয়ররা শপথ নিলেন
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরও সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী