May 16, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

বিশ্বরেকর্ড গড়া এক বাংলাদেশির হতাশার গল্প

ডেস্ক : আব্দুল হালিমের (৪১) বাড়ি মাগুরায়। ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতেন ফুটবলার হওয়ার। চেষ্টার কমতিও ছিল না। কিন্তু ফুটবলার হিসেবে সাফল্য পাননি হালিম, তবে ফুটবলই তাকে এনে দিয়েছে অন্যরকক এক সাফল্যের বিশ্বরেকর্ড।

হালিম এখন মাথায় বল রেখে দিব্যি পারেন সাইকেল চালাতে, দৌঁড়াতে, এমনকি জুতা বদলাতেও। শুধু তাই নয়, বলের ওপর দাঁড়িয়ে আরেক বল মাথায় রেখে, দুই হাতে দু’টি বল ঘোরাতেও পারেন তিনি৷ দেখে মনে হবে, বল বুঝি তাঁর মাথায় কেউ আঠা দিয়ে আটকে দিয়েছে।

মাথার ওপর বল রেখে সব কাজ করার এই অবিশ্বাস্য সামর্থ অবশ্য একদিনে অর্জন করেননি আব্দুল হালি্ম। বছরের পর বছর চর্চা করেছেন। এরপর এসেছে সাফল্য, গিনেস বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতি।

তা-ও একভাবে নয়, মাথায় বল নিয়ে সর্বোচ্চ পথ হাঁটার রেকর্ডের পাশাপাশি বল মাথায় রেখে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে ১০০ মিটার রোলারস্কেটিংয়ের রেকর্ডও তাঁর। নিজের নৈপুণ্যে বাংলাদেশকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এই ক্রীড়াবিদের সাফল্যের কথা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের ডেইলি মেইল পত্রিকা।

ডেইলি মেইলকে নিজের সাফল্যের কথা জানানোর পাশাপাশি হতাশার কথাও বলেছেন আব্দুল হালিম। তিনি মনে করেন, গিনেস বিশ্ব রেকর্ড গড়লেও স্থানীয় মানুষের কাছে তাঁর এই বিশেষ গুণের আলাদা কোনো মূল্য তিনি পান না। বল নিয়ে নানা কসরত দেখিয়ে কিছু অর্থ উপার্জন তিনি করতে পারছেন ঠিকই, কিন্তু পরিবারের চাহিদা পূরণে তা যথেষ্ট নয়।

আব্দুল হালিম দুই সন্তানের পিতা। একটি সন্তান রোগে ভুগছে, যার চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেই টাকা কোথা থেকে আসবে তিনি জানেন না। আব্দুল হালিমের আশা, সরকার তাঁর সাফল্যের কথা শুনবে এবং প্রতিভার যথার্থ মূল্য দেবে।

ডেইলি মেইলকে নিজের এক স্বপ্নের কথাও জানিয়েছেন আব্দুল হালিম। সুযোগ পেলে বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়ে হাজার হাজার মানুষের সামনে ফুটবল মাথায় রাখার নৈপুণ্য দেখাতে চান তিনি। উপযুক্ত সহায়তা পেলে সেটা সম্ভব মনে করেন আব্দুল হালিম। সূত্র : ডয়চে ভেলে

Print Friendly, PDF & Email