May 15, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল গঠনের প্রস্তাব কেবিনেটে অনুমোদন

ডেস্ক : দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি ও কর্মকান্ডে আর্থিক অর্থের জোগান দিতে জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত হবে মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল। তবে এর কর্মকান্ড প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম শফিউল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এ কথা বলেন। প্রাথমিকভাবে অর্থ বিভাগের একটি প্রকল্প থেকে এ তহবিলে অর্থায়ন করা হবে। এ ছাড়া জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
বৈঠকে জাতীয় ড্রাগ পলিসি-২০১৬’র খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে। একই সাথে কস্ট এ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্ট এ্যাক্ট-২০১৬, দ্য নজরুল ইনস্টিটিউট এ্যাক্ট-২০১৬ ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন-২০১৬’র খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
কেবিনেট সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা ভেজাল প্রতিরোধ এবং যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে ওষুধের বাজারজাতকরণের উন্নয়নে ওষুধ নীতি ২০১৬’র অনুমোদন দিয়েছে। এটি ২০০৫ সালের ওষুধ নীতির যুগোপযোগী সংস্করণ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমানে ১২২টি দেশে ওষুধ রফতানি হচ্ছে। এজন্য এখন ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ অত্যাবশ্যকীয় হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানি করছে। এসব দেশের গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাকটিস (জিএমপি) এই ওষুধ নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদিকে স্কয়ার, ইনসেপ্টা ও বেক্সিমকোর মতো কোম্পানি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সনদ পেয়েছে।
নতুন ওষুধ নীতিতে বছরে একবার সরকারের তত্ত্বাবধানে ওষুধের দাম নির্ধারণ করা যাবে।
বৈঠকে বিদ্যমান কস্ট ও ম্যানেজমেন্ট আইন-২০১৬ যুগোপযোগী করে এতে অবৈধ ও প্রতারণামূলক কর্মকা-ের জন্য আরো কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে নতুন আইনে।
উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসরণে ১৯৭৭ সালে সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশটি এই আইনে প্রতিস্থাপিত হচ্ছে। এ অধ্যাদেশটি সামরিক শাসনামলে জারি করা হয়েছিল এবং ২০১০ সালে সুপ্রিমকোর্ট এটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে।
নজরুল ইনস্টিটিউট আইন-২০১৬ ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন-২০১৬ আইন দু’টিও সামরিক শাসনামলে জারীকৃত অধ্যাদেশের প্রতিস্থাপন।

সূত্র: বাসস

Print Friendly, PDF & Email