May 14, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

কিশোরগঞ্জের যুদ্ধাপরাধী আব্দুল মান্নান মারা গেছেন

ডেস্ক:  মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির আদেশ পাওয়া পলাতক আসামি কিশোরগঞ্জের যুদ্ধাপরাধী আব্দুল মান্নান রাজধানীতে মারা গেছেন। সোমবার সকালের দিকে তিনি মারা যান।

মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জের অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদ, রাজাকার কমান্ডার গাজী আবদুল মান্নানসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বা গুলি করে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার বাকি চার আসামি হলেন, শামসুদ্দিনের ভাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ, রাজাকার কমান্ডার গাজী আবদুল মান্নান, আজহারুল ইসলাম ও হাফিজ উদ্দিন। শামসুদ্দিন ছাড়া বাকি চারজনই পলাতক রয়েছেন।

পাঁচজনের বিরুদ্ধে থাকা সাতটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ১, ২, ৩ ও ৫ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। আর ৪ নম্বর অভিযোগে আজহারুল ইসলামকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

ওইদিন বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো.শাহীনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী।

২০১৫ সালের ১৩ মে ওই পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন। এর আগে, শামসুদ্দিন বাদে ৪ জনকে আত্মসমর্পণ করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের মামলায় তদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল এ প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

এ মামলার তদন্ত শুরু হয় ২০১৩ সালের ৬ জুন ও শেষ হয় ২৪ নভেম্বর। মোট ১ বছর ৫ মাস ১৮ দিন তদন্ত শেষে ৪টি ভলিউমে ৪৫০ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। তদন্ত চলাকালে এলাকার মোট ৬০ জনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।

সূত্র : বিডির্বাতা

Print Friendly, PDF & Email