May 15, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

স্বর্ণমন্দিরের ১৬ নভেম্বর থেকে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

ডেস্ক : আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বৌদ্ধ ধাতু স্বর্ণমন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা জোত মহাথেরো উচহ্লা ভান্তে। বান্দরবানের অন্যতম পর্যটনস্পট বৌদ্ধ স্বর্ণমন্দির পর্যটকদের ভ্রমণের  জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞার ৯ মাস পর।

রবিবার (১৩ নভেম্বর) রাত পৌনে ৯টায় বান্দরবান কেন্দ্রীয় বৌদ্ধবিহারে কঠিন চীবরদান উৎসব শেষে মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি।

সভায় অন্যদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ শফিকুর রহমান, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জয় কুমার রায়সহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জের ধরে বৌদ্ধধর্মালম্বীদের ধর্মীয় এ প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা রক্ষায় চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি স্বর্ণমন্দির ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপিসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্বাসে দর্শনীয় স্থানটি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাতা। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে আবারও পর্যটকরা স্বর্ণমন্দিরে ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটির পবিত্রতা রক্ষায় বেড়াতে আসা পর্যটক, দর্শনার্থীদের আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দর্শনীয় স্থান স্বর্ণমন্দিরের নিরাপত্তায় প্রতিষ্ঠানের জন্য পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি ৫টি সিসি ক্যামেরা বরাদ্দ দিয়েছেন। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা এবং নিরাপত্তায় প্রতিদিন ৫ জন করে পুলিশ সদস্য এ স্থানে নিয়োজিত থাকবে।

প্রায় এক হাজার ৬০০ফিট উচ্চতায় পাহাড়ের চূড়ায় স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন বৌদ্ধ ধাতু জাদী স্বর্ণমন্দির। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি তীর্থস্থান হলেও পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। বান্দরবানে বসবাসরত ১১টি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীসহ ১৪টি সম্প্রদায়ের লোকজনের কাছেও বৌদ্ধ ধাতু স্বর্ণ জাদী একটি পবিত্র স্থান।

জেলা শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে বালাঘাটা এলাকায় গড়ে উঠেছে বৌদ্ধ ধাতু জাদী (স্বর্ণজাদী)। যাকে সংক্ষেপে লোকজন জাদি বা স্বর্ণমন্দির বলেই সম্বোধন করে। প্রতিদিন মন্দিরের প্রথম ১০ জন দর্শনার্থীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

উল্লেখ্য, পর্যটকরা এ মন্দিরে বেড়াতে এসে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্বর্ণমন্দিরের বৌদ্ধ মূর্তিগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন অশোভন ভঙ্গিতে ছবি তোলে এবং তা ফেসবুকে আপলোড করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং বৌদ্ধ ভান্তেদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষা এবং সহিংসতা এড়াতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে স্বর্ণমন্দিরে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেন বৌদ্ধ ধাতু স্বর্ণমন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা জোত মহাথেরো উচহ্লা ভান্তে। তবে পূজারীরা অনুমতি সাপেক্ষে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারতেন।

Print Friendly, PDF & Email