April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

১৯ অক্টোবর থেকে তিনদিনের তথ্য প্রযুক্তির মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘নন স্টপ বাংলাদেশ’ শ্লোগানে ১৯ থেকে ২১ অক্টোবর দেশে সবচেয়ে বড় তথ্য প্রযুক্তির মেলা ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬’ অনুষ্ঠিত হবে।

‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬’ এর উপদেষ্টা কমিটির সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য জানান। সচিবালয়ে সোমবার ১৯ সেপ্টেম্বর উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি ও অর্থমন্ত্রী এতে সভাপতিত্ব করেন।

‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’-এ সরকারের ৪০টি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়টি তুলে ধরবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এ মেলা হবে।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস) ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ-টু-আই কর্মসূচির সহায়তায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের আয়োজন করছে।

এবার মেলায় ৩ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম ঘটবে বলেও আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড সম্মেলন আমরা করছি ১৯ থেকে ২১ অক্টোবর। সেটার প্রিপারেশনের জন্য আজকের এ অনুষ্ঠান। এখানে নিয়ারলি হান্ডেস অব স্পিকারের পার্টিসিপেশন (প্রায় একশ বিদেশি বক্তা) আশা করছি। ৪০টি মিনিস্ট্রি তাদের স্টল নিয়ে মেলায় অংশ নেবে।’

এ মেলার বিষয়ে বিভিন্ন সার্কেল থেকে গুরুত্বপূর্ণ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে মুহিত বলেন, ‘সবাই এ মেলার বিষয়ে জানতে পারলে মেলায় স্টল আরও আসবে।’

সভায় জানানো হয়, মেলায় প্রদর্শনীতে থাকবে সফটওয়্যার শোকেসিং, ই-গভর্নেন্স এক্সপোজিসন, মোবাইল ইনোভেশন, ই-কমার্স এক্সপো ও স্টার্টআপ জোন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট ১২টি সেমিনার হবে।

মেগা সেমিনার বা কনফারেন্সের মধ্যে রয়েছে- মিনিস্টিরিয়াল বা ডেভেলপমেন্ট পার্টনার্স কনফারেন্স, আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প, আইসিটি এডুকেশন সম্মেলন। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, অ্যাওয়ার্ড নাইট ছাড়াও মেলায় আরও কিছু প্রোগ্রাম থাকবে।

সাংবাদিকদের উপস্থিতেতে সভার শুরুতেই বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এবারের মেলা আয়োজনের বিভিন্ন বিষয় প্রোজেক্টরের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি সেকেন্ডে ৪০ লাখ মেগাবাইট ডাটা শেয়ার হচ্ছে।

সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন হলো এই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে।’

শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে যখন ডিজিটাল কথাটা বলেছেন বিরোধীপক্ষ তখন মশকরা করতো জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ‘এখন এর ছোঁয়া গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই গতি থাকলে টার্গেট ছাড়িয়ে যাব। এই খাত অর্থনীতিতেও বিরাট ভূমিকা রাখছে।’

জাতীয় নির্বাচনে ভোটিং সিস্টেমকে ডিজিটালাইড করার উপর গুরুত্বারোপ করে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘প্রকৃতভাবে দেশকে ডিজিটাল করতে হলে এটা (ভোটিং সিস্টেম ডিজিটালাইজড) করতে হবে। এটা রিয়েলি নট টাফ জব।’

সভায় রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, ট্রেনেও ডিজিটাল পদ্ধতির ছোঁয়া লেগেছে।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘সরকার ডিজিটালি কতটুকু সেবা দিচ্ছে তা অনেক জনগণ জানেন না, কোন কোন মন্ত্রীও জানেন না। কোন কোন মন্ত্রণালয় কী কী সেবা দিচ্ছে মন্ত্রণালয়ে সেই তালিকা থাকা উচিত।’

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘এখন আর আলাদা ব্র্যান্ড খোঁজার দরকার নেই, ডিজিটাল বাংলাদেশ ইটসেলফ এ ব্র্যান্ড।’ এ সময় ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে ইয়াফেস ওসমান স্বরচিত ছড়াও শোনান।

বেসিসের সভাপতি মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘প্যাটেন্ড অ্যান্ড ডিজাইন আইনটি ১৯১৯ সালের। এ আইন দিয়ে সফটওয়্যার রক্ষা করতে পারব না।’ তাই তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে শিল্পমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।

সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email