May 15, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

রাজধানীর ৪ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা

অাদালত প্রতিবেদক : রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পপুলার মেডিসিন কর্ণার, ঢাকা ট্রমা সেন্টার ও ইসলাম ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরিকে ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক উপাদান দিয়ে রোগ নির্ণয় করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে রবিবার ১৮ সেপ্টেম্বর) এ জরিমানা করা হয়। র‌্যাব-২ এর এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরওয়ার আলম।

সরওয়ার আলম জানান, ঢাকা ট্রমা সেন্টার এন্ড স্পেশালাইজড অর্থোপেডিক হসপিটালটি বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক টেস্টের জন্য মেয়াদউত্তীর্ণ রাসায়নিক ব্যবহার করছিল। এছাড়া অপরিষ্কার মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব, ওটি রুমের নোংরা পরিবেশ, রাসায়নিক রাখা ফ্রিজে তেলাপোকাসহ মৃত পোকামাকড় থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), ব্যবস্থাপক মো. আলী জিন্নাহ (৪০), ফার্মাসিস্ট মো. পাপ্পু ইসলাম (২৩) এবং রিসিপশনিস্ট আফরোজা আক্তারকে (২৩) আটক করা হয়। আটকদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মোট ৮ লাখ টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে প্রত্যেককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

ইসলাম ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরিতে মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক ব্যবহার, ডাক্তার ছাড়াই রিপোর্টে স্বাক্ষর করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে। এসব অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. শাহজাহান (৫৫), খন্দকার নুরুল ইসলাম (৬০) ও ল্যাব ইনচার্জ শামসুন্নাহারকে (৪৮) আটক করা হয়। আটকদের দোষ স্বীকারোক্তির মোট ৬ লাখ জরিমানা এবং অনাদায়ে প্রত্যেককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় মো. নাজিমুদ্দিন ভুইয়াকে (৪৫) ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

পপুলার মেডিসিন কর্নারে অভিযান পরিচালনার সময় দেখা যায়, ফার্মেসিতে অবৈধভাবে আমদানিকৃত বিপুল পরিমাণ উচ্চমূল্যের রেজিস্ট্রেশনহীন বিদেশি ওষুধ ব্যবহার ও বিক্রয়ের জন্য মজুদ রাখা ছিল। এ অভিযোগে ফার্মেসি ইনচার্জ মো. শওকত তালুকদারকে (২৪) আটক করা হয়। তার দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

সরওয়ার আলম আরও জানান, কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক ব্যবহার ও ল্যাবের নোংরা পরিবেশ দেখা যায়। এ সকল অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মো. মোশাররফ হোসেন (৫২), ল্যাব ইনচার্জ বাবুল সাহা (৩১) এবং মো. গোলাম মোস্তফাকে (৩২) আটক করা হয়। আটকদের দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মোট ৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে প্রত্যেককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email