তপন কুমার চক্রবর্তী :
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের শুভ অন্নপ্রাশনের দিনে ঠাকুরের পরম শ্রদ্ধেয়া জননী মনোমোহিনী দেবী নিম্নোক্ত উপদেশ সম্বলিত তাৎপর্যপূর্ণ আশীর্বাদ করেছিলেনঃ
“অকুলে পড়িলে দীন হীন জনে
নুয়াইও শির, কহিও কথা।
কূল দিতে তারে সেধো প্রাণপণে
লক্ষ্য করি তার নাশিও ব্যথা।”
মায়ের এ আশীর্বাদে সিক্ত শ্রী শ্রী ঠাকুরের দিব্যজীবন আধ্যাত্মিকতা- জ্ঞান- কর্ম-ভক্তি ও সেবার মহান আদর্শে গড়ে উঠেছিল। যা বিশ্বমানব কল্যাণের মহান ব্রতে নিয়োজিত ছিল এবং এ মহান আদর্শপ্রানতা এ ধরার অন্ধকার দূর করেই চলেছে। প্রতিটি শিশুর মা-বাবারই একান্ত আকাঙ্ক্ষা থাকে শিশুটি সমাজে দশ জনের একজন হোক। যোগ্য মানুষ হয়ে সম্মান ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন করুক। এ চাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তবে এ চাওয়ার সাথে পাওয়ার যে সেতুবন্ধন তা হচ্ছে মানুষের আদর্শনিষ্ঠ কর্মধারা । যাকে বলা হয় সৎকর্ম। শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছেন ‘করাই হচ্ছে পাওয়ার জননী’। সুসন্তান লাভ ও তাকে সমাজে যথার্থ মর্যাদাবান ব্যক্তি হিসেবে দেখতে অবশ্যই পিতা-মাতা কে সৎভাবনা, সৎকর্মের সাথে যেমন নিজেকে সম্পৃক্ত করতে হবে, তেমনই সন্তান সন্ততিকে এ কর্মধারায় নিয়োজিত করতে হবে। আর এর মূল ভিত্তি হচ্ছে সৎদীক্ষা । সৎদীক্ষা মানুষকে নিষ্ঠাবান করে, সৎচিন্তা- সৎভাবনা- সৎকর্মে চালনা করে। তাই শ্রী শ্রী ঠাকুরের নির্দেশ হচ্ছে, ‘সৎদীক্ষা তুই এক্ষুনি নে।’ দীক্ষার মাধ্যমে মানুষের মন সম্যক প্রকারে আদর্শে ন্যস্ত হয়। এই দীক্ষার আলোকধারায় মানুষ স্বীয় জীবনকে সুনিয়ন্ত্রিত করে সুপথে চালনা করে। ফলে প্রাপ্ত হয় সফল-সুন্দর- কল্যাণময় জীবন যা মানব কল্যানে প্রভূত ভূমিকা রাখে।
সুতরাং আমরা সুসন্তানের গর্বিত মাতা-পিতা হতে শ্রী শ্রী ঠাকুরের প্রতি তাঁর পরমারাধ্যা জননীর আশীর্বানীটি ও এর তাৎপর্য স্মরণ-মনন-অনুধাবন করতে পারি। মায়ের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে ঠাকুর মহান আদর্শে যেভাবে মানব জীবনকে আলোকিত করেছেন সে আলোকধারায় আলোকিত হয়ে আমরা সুন্দর সমাজ ও কল্যাণময় বিশ্ব গড়ে তুলে বিশ্বশান্তি সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারি।
লেখক : চেয়ারম্যান ( অতিরিক্ত সচিব), বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এ বিভাগের আরো..
র্নিবাচনে বঞ্চিতরা কি পেলেন, কি পাবেন?
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎসেনাবাহিনীর পিজিএস, পিএসও
আপিলের শর্তে জামিন পেলেন ড. ইউনুস শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৬ মাসের সাজা