আদালত প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সাক্ষী পাওয়া যাচ্ছিল না বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি বলেন, ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় দিয়েছিলেন। হাইকোর্টে ডেথ কনফারমেশনের জন্য আসে। এ নিয়েও প্রতিকূলতা ছিল। তা আমি বলতে চাচ্ছি না। সোমবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে বিচার বিভাগ এগিয়ে এসেছে। যেখানে অন্যায় দেখেছে, সেখানে হস্তক্ষেপ করেছে। বিচার বিভাগ কোনও দিন পিছপা হয়নি।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন প্রধান বিচারপতি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারে বিভাগের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর তৎকালীন সরকার ইনডেমনিটি অরডিন্যান্স জারি করেছিল। পরে সরকার যখন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করল, আপিল বিভাগ তা বহাল রাখেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার হলো।
মামলা ও এর রায় দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু খুনের পর ওই সময়ের বিচার বিভাগের সমালোচনা করা হতো। কিন্তু এর মধ্যেও আমাদের সিনিয়র বিচারপতিরা পিছপা হননি। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ কেবল বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেনি, জেলহত্যা মামলার বিচারও করেছে।
এ বিভাগের আরো..
বিচারক-আইনজীবীদের কালো কোট-গাউন পরতে বাধ্যবাধকতা নেই।
ঝিনাইদহে কৃষক হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন ও ৩ জনের সশ্রম কারাদন্ড
হাইকোর্টের আদেশ আপিলে স্থগিত, রমজানে স্কুল খোলা