May 14, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

তাজউদ্দীন আহমদের ৯১তম জন্মবার্ষিকী

ডেস্কঃ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তাজউদ্দীন আহমদের ৯১তম জন্মবার্ষিকী আজ। তার জন্মবার্ষিকীতে বিভিন্ন দল ও সংগঠন আজ বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবে।
১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই বর্তমান গাজীপুর জেলার অন্তর্গত কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া গ্রামে মুহম্মদ ইয়াসিন খান ও মেহেরুন্নেসা খানমের ঘরে জন্ম নেন তাজউদ্দীন আহমদ। সাত ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।
১৯৪৩ সালে ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় তাজউদ্দীনের। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাজউদ্দীন সক্রিয় ছিলেন। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানসহ বাঙালির সব স্বাধিকার আন্দোলনে তাজউদ্দীনের ভূমিকা এদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে তিনি বহুবার কারারুদ্ধ হয়ে নির্যাতন ভোগ করেন। তিনি ছিলেন উদার প্রকৃতির একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। নিজেকে
আড়াল করে কৃতিত্ব দিয়েছেন অন্যকে- এটাই ছিল তার রাজনৈতিক জীবনের বড় বৈশিষ্ট্য। বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাজউদ্দীনের ছিল অকৃত্রিম আনুগত্য ও বিশ্বাস। তিনি ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে কাপাসিয়া থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে মোট ৩১৩টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে ১৬৭টি আসন লাভ করে। পিপলস পার্টি পশ্চিম পাকিস্তানে ৮৮টি আসন লাভ করে। আসন সংখ্যার দিক থেকে পার্লামেন্টে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দেন তাজউদ্দীন আহমদ। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার মূল দায়িত্ব অর্পিত হয় তার ওপর। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর তিনি অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন।
জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার জীবনীভিত্তিক এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি সংসদ। শনিবার বিকেল পাঁচটায় ধানমন্ডির গ্যালারি টোয়েন্টি ওয়ানে মাসব্যাপী এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দি করা হয়। ৩ নভেম্বর তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় অপর তিন জাতীয় নেতার সঙ্গে নির্মমভাবে হত্যা করে একটি ঘাতক চক্র।

Print Friendly, PDF & Email