আদালত প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জে পি আর সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আজ বুধবার বেলা ৩টার দিকে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেয়।
আজ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম.কে. রহমান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মহসীন রশিদ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত শিক্ষক লাঞ্ছনা-সংক্রান্ত সংবাদ আদালতে উপস্থাপন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করে আদালত। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন।
স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তাছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানসহ জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- সে ব্যাপারে আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগে গত ১৩ মে শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের পি আর সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে কান ধরে ওঠ-বস করানো হয়। সমবেত জনতার কাছে করজোড়ে মাফ চাইতেও বাধ্য করা হয় তাকে। এরপর সংসদ সদস্যের নির্দেশে প্রধান শিক্ষককে পুলিশের হেফাজতে স্কুল থেকে বের করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার উপরন্তু ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ।
এ ঘটনার পর দেশজুড়ে প্রতিবাদ জানায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ওই ঘটনার সমালোচনা হয় ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষককে কান ধরিয়ে উঠ-বস করানোটা কলঙ্কজনক। এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এ বিভাগের আরো..
বিচারক-আইনজীবীদের কালো কোট-গাউন পরতে বাধ্যবাধকতা নেই।
দুই সিটির নবনির্বাচিত মেয়ররা শপথ নিলেন
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরও সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী