May 16, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

গণমাধ্যম ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী একে অপরের প্রতিপক্ষ নয় : তথ্যমন্ত্রী

ডেস্ক প্রতিবেদন : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, গণমাধ্যম ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রতিপক্ষ নয়, গণমাধ্যম ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যদি এক অপরের পরিপূরক হয় তবে দেশে আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
তথ্যমন্ত্রী বুধবার রাতে নগরীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্র্যাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান লাবলু। এতে বক্তৃতা করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান, এফবিসিসিআই পরিচালক দীলিপ কুমার, অরুনীমা প্রোপার্টিজ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জিয়াউল হক জুয়েল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম লাবলু।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা অপরাধ করে তারা কারাগারে থাকে। আর যদি এই অপরাধীরাই কারাগারের বাইরে থাকে তাহলে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় ও অশান্তি সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, আমরা এরকম একটি সমস্যার মাঝে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা করছি এবং গণতন্ত্রের সম্মুখ যাত্রা নিশ্চিত করছি। অপরাধীরা কয়েক রকমের হয়ে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেউ রাগের মাথায়, কেউ অভাবের তাড়নায় অপরাধ করে। আরেক ধরনের অপরাধী আছে যারা অপরাধ করে অনুশোচনা বা তওবা করে না- তারাই দাগী অপরাধী। এ ধরনের অপরাধীরা বদলায় না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আরেক ধরনের অপরাধী আছে, পৃথিবীতেও আছে, এরা হচ্ছে- রাজনৈতিক কর্মী, রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী। যারা ক্ষমতার জন্য অথবা সম্পদ সংগ্রহ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে অপরাধ করে। ক্ষমতার জন্য সংবিধান লংঘন করে, স্বৈরাচারী প্রবণতা দেখায়, এমনকি ক্ষমতার জন্য প্রতিপক্ষকে খুন করে ফেলে। আমাদের দেশে এ ধরনের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের আমরা দেখছি।
তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মীরা ঠান্ডা মাথায় নারী নির্যাতন করছে ও ঠান্ডা মাথায় গণহত্যা চালাচ্ছে। এটা বড় ধরনের অপরাধ। আমরা দেখেছি ক্ষমতার জন্য খন্দকার মোস্তাক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুন করেছে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য বৃষ্টির মত গ্রেনেড ছোঁড়া হয়েছে। তিনি বেচে গেলেও তাঁর সাথে থাকা ২৩ জন মারা গিয়েছেন। এধরনের অপরাধ করার পরও যদি মুখ দেখে, দল দেখে ছাড় দেয়া হয় বা অপরাধের বিচার না করা হয়, তাহলে দেশে আর আইনের শাসন থাকে না। গণতন্ত্র মানে আইনের শাসন, গণতন্ত্র মানে সুশাসন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের মশারী হচ্ছে আইনের শাসন। গণতন্ত্র চর্চা করতে হলে মশারীর ভেতর থাকতে হবে। আর পোকা-মাকড় হচ্ছে জঙ্গিবাদ, আগুন সন্ত্রাস ইত্যাদি। এসব কথা বলার কারণ হচ্ছে, অতীতে যারা অপরাধ করেছিল তারা ইতিহাসের বাগাড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। তিনি বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, অপরাধ দমনে পুলিশের পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি- ঢাকা মহানগরীতে বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে উঠান বৈঠক করে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে।

Print Friendly, PDF & Email