April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

‘ইসলামি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে আ.লীগ সরকারই পদক্ষেপ নিয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক :  মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব ইজতেমার ভেন্যু নির্ধারণের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশে তা আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত করে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা খুব কম সময়ই ক্ষমতায় থেকেছেন। এই স্বল্প সময় তিনি দেশ থেকে মদ-জুয়াসহ সকল গর্হিত ও ইসলামবিরোধী বিষয়গুলো নিষিদ্ধ করে গেছেন। ইসলাম প্রচার ও প্রসারে কাজ করে গেছেন তিনি। তার কল্যাণেই বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা একজন সত্যিকারের মুসলমান ছিলেন। ইসলামের কল্যাণে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পাশাপাশি সকল ধর্মের মানুষ যেন এদেশে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করতে পারে, সে ব্যবস্থা করেন। তিনি এদেশের দরিদ্র, ভুখা-নাঙ্গা মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পরে বাংলাদেশে ১৯টি ক্যু হয়েছে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় জাতির পিতার আদর্শে ইসলামকে সমুন্নত করতে সচেষ্ট হয়। আমরা মুসলমানদের জন্য শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রচলন ঘটিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বায়তুল মোকাররম মসজিদ আমাদের জাতীয় মসজিদ। এ মসজিদের উন্নয়নে আমরা প্রকল্প নেই। সৌন্দর্য বর্ধন, অ্যাভিনিউ নির্মাণ করি।

শেখ হাসিনা বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষাকে বঙ্গবন্ধু গুরুত্ব দিয়েছেন। সেজন্য তিনি বোর্ড তৈরি করে দিয়েছেন। ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া কোনো শিক্ষা উন্নয়ন হয় না। সেটা শিশুকাল থেকে দিতে হয়। তিনি এ শিক্ষা প্রসারে ভাতার ব্যবস্থা করেছেন।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার আদর্শে পরিচালিত আমাদের সরকার দেশ থেকে দারিদ্র্য বিতাড়ণে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ব্যাপক হারে গৃহহীনদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছি। ইসলাম ধর্ম শিক্ষা দেয়, প্রয়োজনে নিজের খাবার দরিদ্রকে দিতে হবে। এ শিক্ষা থেকেই আমরা দেশকে আরো সামনে বাড়াতে কাজ করছি।

ওলামায়ে কেরামদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম প্রচারের পাশাপাশি দেশে যাতে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া না দেয়, সে জন্য কাজ করে যেতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বমঞ্চে অনেকেই বলে থাকেন, ইসলাম ধর্ম সন্ত্রাসীদের ধর্ম। আমি উচ্চস্বরে বলেছি, জঙ্গির কোনো ধর্ম থাকতে পারে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। এ ধর্ম কখনোই জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না।

Print Friendly, PDF & Email