May 16, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও বৃত্তি পাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও বৃত্তি পাবে। এ জন্য ‘প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট (সংশোধন) আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট (সংশোধন) আইনটি ২০১২ সালের আইনে দুটি ঘাটতি রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এখানে স্নাতক শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু স্নাতকোত্তরের জন্য কোনো প্রভিশন নেই। এ ছাড়া আইনে বিধি ও প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা সরকারকে দেওয়া আছে, কিন্তু নীতিমালা প্রণয়নের কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।’

‘এখন প্রস্তাব করা হয়েছে- মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি কোর্সের শিক্ষার্থীরাও এখান (ট্রাস্ট) থেকে বৃত্তি পাবে। এ জন্য নতুন আইনে একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। আইনের সংশোধনীতে প্রবিধানের সঙ্গে নীতিমালা প্রণয়ন করতে সরকারকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আইনের খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং (পরীক্ষা-নিরীক্ষা) সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা’ বলেন শফিউল আলম।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান আইন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে স্নাতক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। আইন সংশোধনের পর স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও বৃত্তি পাবেন।’

সেনানিবাস আইনের খসড়া ফেরত

‘সেনানিবাস আইন, ২০১৬’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলেও তা অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রিসভা।

এ আইনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মূলত ১৯২৪ সালের সেনানিবাস আইনটি বাংলায় অনুবাদ করে এর সঙ্গে কিছু যোগ-বিয়োগ করে এ আইনটি উপস্থাপন করা হয়েছে। মন্ত্রিসভা বলেছে এটা আরেকটু বিচার বিশ্লেষণ করে, ঠিকঠাক করে আনা দরকার। সিদ্ধান্ত হয়েছে খসড়া আইনটি আরেকটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উপস্থাপন করা হবে।’

Print Friendly, PDF & Email