May 14, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

অনলাইনে আয় করার ১০ উপায়

ডেস্ক প্রতিবেদন : অনলাইনে যে কিভাবে ঘরে বসে অনেকভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়, তা এই  প্রতিবেদন  পড়লে জানতে পারবেন। অনলাইনে আয় করা বাস্তব জীবনে আয় করার মতোই কঠিন। এখানে এমন কিছু রাস্তা আছে যেগুলোতে কাজ শুরু করা সহজ কিন্তু, এগুলো থেকে বেশী টাকা রোজগার করা যায় না। এ তুলনায় অন্যান্য উপার্জনের পন্থায় ভালো আয়ও হয় আবার, তা ধারাবাহিকভাবে বজায় থাকে। বাংলাদেশ থেকে অনলাইন আয় রোজগারের উপায়গুলো নিম্নরুপ,

১।পেড রিভিউ-এর মাধ্যমে আয় রোজগার সার্ভে বা জরিপ একটা পুরাতন পদ্ধতি । “সার্ভে” সাইটে গিয়ে নিবন্ধিত হবেন আর সার্ভে বা জরিপ আসার অপক্ষা করবেন; সার্ভে ফর্ম পূরণ করে মতামত জানাবেন, হা! প্রতিটি সার্ভের জন্যে আপনি টাকা পাবে।

এখানে, এমন কিছু ব্যবস্থাও আছে যেখানে, ইমেইল পড়ার ও জবাব দেওয়ারও কাজ থাকে। সার্ভে সাইট হিসেবে অন্যতম জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে-সার্ভে সেভী।

২।নিবন্ধ লিখে আয় রোজগার এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো পাঠকদের লেখায় আপডেট হতে থাকে। কোন কোন সাইটে তারা লেখকদের সাথে মুনাফা ভাগ করে নেয়।

এখানে বিভিন্ন নিবন্ধ লিখতে পারেন আর আর্টিকেল বা নিবন্ধ যতো বেশি পাঠক পড়বেন, ততো বেশি টাকা পাবেন। “শুভং” নামক একটা ওয়েবসাইট আছে যারা তাদের লেখকদের সাথে শতকরা ১০ ভাগ গুগল এডসেন্স-এর লভ্যাংশও ভাগ করে নেয়।

৩।পিটিসি বা পেড-টু-ক্লিক এ আয় রোজগার পিটিসি বা পেড-টু-ক্লিক এর সাহায্যে ওয়েবসাইট(শুধুমাত্র স্পনসরড্ সাইটগুলো‌)ব্রাউজ করার জন্যে টাকা পাবে। এতে আরো উপায় আছে যাতে ওয়েবসাইট সার্ফ করে, ওয়েবসাইট দেখে আর ওয়েবসাইট সার্চ করে টাকা উপার্জন। সত্যকথা বলতে কি, এই সাইটগলো আয়ের তুলনায় অনেক বেশী সময় অপচয় করে। এরা একেক ইউনিট এডের পেছনে তোমার ব্যয়ের তুলনায় খুবই কম টাকা দেয়। একটা জনপ্রিয় পিটিসি সাইট যারা ভালো অর্থ প্রদানও করে থাকে সেটি হচ্ছে- বাকস্‌.টু

৪।তোলা ছবির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন যদি তুমি একজন ফটোগ্রাফার বা চিত্রগ্রাহক হয়ে থাকো, তবে আপনার তোলা আকর্ষনীয় ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারো। অনলাইনের ডিজাইনার্‌রা তাদের প্রজেক্টের জন্যে অনেক ছবি খুঁজে থাকেন, তাদের নিকট আপনার  ছবিগুলো বিক্রি করা যায়। এ  ছবিগুলো আই-স্টক-ফটোস্‌ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রিও করা যাবে।

৫।গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় রোজগার গুগল এডসেন্সে আয় করার জন্যে আপনার একটা সচল ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ প্রয়োজন।নিশ্চয়ই দেখেছন এমন বিলবোর্ড বা টিউনার যেখানে তারা(জনৈক অসাধু ব্যবসায়ীরা) দাবি করে যে, আপনি এখান ১০ থেকে ২০ ডলার দৈনিক আয় করতে পারবে- এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা! গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয় তখন যখন, কেউ গুগলের সেসব এডে ক্লিক করে।

কিন্তু, এখানে ইনকাম করার পূর্বে একটা তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট তৈরী করে নিতে হবে। কিন্তু, আপনাকে সেসব নকল এডসেন্স শেখার জায়গায় এই সেখানো হয় যে, কিভাবে চুরির লেখা দিয়ে একটা নকল ওয়েবসাইট বানাতে হয়, এটাতো আসল নয় কারণ এটা একটা ধোঁকাবাজি। google.com/adsense

৬। আপনার  মতামত প্রকাশের জন্যে টাকা পাবেন,  এটিই নতুন দিনের আয় রোজগার মাধ্যম, এখন আপনি  টাকা নিয়ে যেকোন ওয়েবসাইট বা কোম্পানীর ব্যাপারে মতামত দিয়ে একটা নিবন্ধ লিখে ফেলোন আপনার ব্লগে। পেড রিভিউ সাইটগুলো কল্যাণে, এখন তারা(কোম্পানী বা ওয়েবসাইটগুলো) আপনাকে  তাদের ব্র্যান্ড, পন্য বা ওয়েবসাইটের বিষয়ে লেখার জন্যে অর্থ পরিশোধ করবে।  এই মতামত বা ব্লগ তাদের নিয়ে বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করবে আর তারা পাবে অধিক পাঠক ও ক্রেতা। এরকম একটা জনপ্রিয় পেড্‌ রিভিউ সাইট হচ্ছে-সোস্যালস্পার্ক

৭।এফাইলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে আয় রোজগার(সেবামূলক গোষ্ঠীর সাহায্য করা) এটি একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে  ওয়েবসাইটে কোন পন্যের প্রচার করবেন আর যখন পন্য বিক্রি হবে, তখন আপনি এর থেকে কমিশন পাবেন। এখানে অনেক আধুনিক আর ভালো পন্য আছে যেগুলো বিক্রি করা যায় আর মানুষ কিনতেও আগ্রহী;

৮।ব্যানার এডস্‌ বা “ব্যানার” জাতীয় বিজ্ঞাপন বিক্রি করে আয় রোজগার যদি আপনার  একটা প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে, তবে বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার ব্লগে তাদের বিজ্ঞাপন দিতে দ্বিধাবোধ করবে না। একেই বলে, ব্যানার এডস্‌ অথবা সরাসরি ইনকামের সুযোগ।আপনার  ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা যতো বেশি হবে আপনার পাঠক সংখ্যা বাড়বে ততো বেশি হবে আর আয়ও বাড়তে থাকবে।

৯।ফ্রি-লেন্সিং বা অস্থায়ী কর্মী হিসেবে অর্থ উপার্জন ঘরে বসে ফ্রি-লেন্সিং করা আয় রোজগারের একটা চমৎকার সুযোগ। যদি ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা এড্‌মিনিস্ট্রেশন বা তদারকির কাজে দক্ষতা থাকে তাহলে, অনলাইনে এসব কাজ করে আয় রোজগার করতে পারেন। আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন।

১০।টুইটার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করা বিজ্ঞাপনদাতাগণ বর্তমানে তাদের ক্যাম্পেইন বা বিজ্ঞাপন উদ্যোগগুলো “টুইটার” বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন। এজন্যে, আপনার কোন ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থাকারও প্রয়োজন নেই। এমন অনেক কোম্পানী রয়েছে, যারা টুইটার বিজ্ঞাপনের কাজ করে থাকে যেমন- মেগ-এ-পাই। অনলাইনে আয়ের টাকা বাংলাদেশে কিভাবে পাবেন?

ক।চেকে টাকা পাওয়া এটা একটা ব্যাংকের চেক যেটি আপনি যেকোন ব্যাংক থেকেই উত্তোলন করতে পারবেন। এডসেন্স ও অন্যন্য সাইট এরকম চেকে টাকা পাঠিয়ে থাকে। এটা বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সবচেয়ে সাধারণ ও জনপ্রিয় মাধ্যম। খ।পেপেল-এর মাধ্যমে টাকা পাওয়া পেপেল টাকা পাওয়ার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম, যেটি আপনাকে অনলাইনে টাকা পেতে সাহায্য করবে। অবশ্য, এখনও পেপেল বাংলাদেশে আসেনি কিন্তু শীঘ্রই আসবে।

গ।পেওনিয়ার প্রিপেইড ডেবিট মাস্টারকার্ড এটা বাংলাদেশে অনলাইনের টাকা পাওয়ার জন্যে নতুন একটা রাস্তা।আপনি অডেস্ক থেকে মাস্টারকার্ড পেয়ে সেই কার্ড থেকে টাকা উঠাতে পারবেন।

বাংলাদেশে অডেস্ক পেওনিয়ার প্রিপেড ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ প্রাপ্তি।

ঘ।মানিবুকারস্‌ থেকে টাকা প্রাপ্তি মানিবুকারস্‌ অনেকটা পেপেলের মতোই আর এটা আপনার  ব্যাংক একাউন্টের মতনও। বাংলাদেশে এটা প্রচলিত আছে। মানিবুকারস্‌

ঙ।এলার্টপে-এর মাধ্যমে টাকা পাওয়া এটিও পেপেলের মতোই আর বাংলাদেশে প্রচলিত আছে। আপনি এর টাকা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন থেকে উঠাতে পারবেন। এলার্টপে চ।ই-গোল্ড ব্যবহার টাকা প্রাপ্তি পেপেলের মতোই…ই-গোল্ড আমি অনলাইনে কত টাকা আয় করতে পারবো? এটা আপনার  পরিশ্রম, দক্ষতা আর পদ্ধতির উপর নির্ভর করবে, আপনি  চাইলে ৫০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন। আয় সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার  বিশ্বস্ততা ও পরিশ্রমের উপর। এখন, চাইলে ১৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা বা উপরে ৫০,০০০ প্রতি মাসে উপার্জন করতে পারবেন । এখানে সত্যিই অনেক টাকা বানানো যায় আর এটা কোন ফাজলামো নয়, যাই করো  কঠোর পরিশ্রম করবে। কখনো চুরি, ধোঁকাবাজি করবেন না আর আপনার  কাজের প্রতি সৎ থাকার চেষ্টা করবেন।

Print Friendly, PDF & Email