April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে

ডেস্ক প্রতিবেদন :  শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার হলেও এখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি, সেশন, কোচিং ও পরীক্ষা ফিসহ বিভিন্নভাবে প্রতিনিয়ত টাকা নেয়ার হার বাড়ছে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, সন্তানের জন্য তারা বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসব খরচ মেটাতে। এদিকে শিক্ষাবিদরা বলছেন, যে দেশে শিক্ষা পণ্য হয় সে দেশে বৈষম্য বাড়ে।

সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠান অভিভাবকরা। তাই, প্রয়োজন আর চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু, কর্তৃপক্ষের মনিটরিংয়ের অভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো সেবাপ্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।

দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ শিক্ষার বাইরে। বৈষম্য দূর করতে দরকার শিক্ষার প্রসার। কিন্তু, কিছু মানুষের স্বার্থের কাছে বলি হচ্ছে শিক্ষা অধিকার। তাই সমাধানে শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়ানোসহ মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষায় গুরুত্ব বাড়ানোর তাগিদ শিক্ষাবিদদের।

শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বে কোচিং বাণিজ্য এবং ভর্তি বাণিজ্য দু’টোই এখন রমরমা ব্যবসা। যে দেশে শিক্ষা পণ্য হয়ে যায়, সেই দেশে বৈষম্য বাড়ে।’

আর শিক্ষাবিদ ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘পঞ্চম শ্রেণিতে একটা পরীক্ষা, অষ্টম শ্রেণিতে আরেকটা পরীক্ষা। এই দুই পরীক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এর ফলে গ্রাম পর্যায়ে কোচিং বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয়ে গেছে। তার সঙ্গে প্রশ্ন ফাঁসের মতো নিকৃষ্ট কার্যক্রম হচ্ছে। এর সঙ্গে আমাদের পরিবারগুলো এবং শিক্ষকরাও জড়িয়ে পড়ছে।’

সামাজিক আন্দোলন ও সচেতনতার মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধানের গুরুত্বারপ করলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, ‘শিক্ষায় আমরা ব্যবসা অনুমোদন দেবো না। আমি বললেই এটা হবে হবে না। অনেকের টাকা বাড়ছে। আমাদের মধ্যবিত্ত শ্রেণি বেড়েছে।’

শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মৌলিক অধিকারের মধ্যে বৈষম্য কমলে দেশে বিভেদও কমে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

Print Friendly, PDF & Email