ক্রীড়া প্রতিবেদক : শোয়েব মালিক ও ওমর আকমলের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারাল পাকিস্তান। ভারতের কাছে হারে যাত্রা শুরুর পর এশিয়া কাপ টি২০-তে দ্বিতীয় ম্যাচে বড় জয়ের দেখা পেল শহীদ আফ্রিদির দল। আর টানা তিন ম্যাচ হেরে ফাইনালের দৌঁড়ে ছিটকে পড়ল আরব আমিরাত।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার সন্ধ্যায় টস জিতে শুরুতে ব্যাটে করে ছয় উইকেটে ১২৯ রান করে আমিরাত। জবাবে ৮ বল বাকি থাকতেই তিন উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান করে পাকিস্তান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। আমিরাত অধিনায়ক আমজাদ জাভেদের বলে আউট হয়ে একে একে সাজঘরে ফিরেন শারজিল খান, খুররম মনজুর ও মোহাম্মদ হাফিজ। এর মধ্যে হাফিজ কেবল দুই অঙ্ক ছূঁয়েছেন।
তবে চতুর্থ উইকেটে ওমর আকমল ও শোয়েব মালিকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সহজ জয় পায় পাকিস্তান। চতুর্থ উইকেটে এই জুটি ১১৪ রান তোলে অবিচ্ছিন্ন থেকেছে। মালিক ৪৯ বলে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কার মারে করেন ৬৩ রান। আর ৪৬ বলে দুই চার ও তিন ছক্কায় মালিক করেন ৫০ রান।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১২৯ রান করেন আরব আমিরাত। মোহাম্মদ সামি, মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ ইরফানের বোলিং নৈপুণ্যে শুরুতেই কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল আকিব জাভেদের শিষ্যরা। এরপর আমিরাতের ব্যাটসম্যানরা অনেকটা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হন।
চতুর্থ ওভারেই মাত্র ১২ রানের মধ্যে তৃতীয় উইকেট হারায় আমিরাত। পরপর তিন ওভারে পাকিস্তানের বোলার ত্রয়ী মোহাম্মদ সামি, মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ ইরফান তিনটি উইকেট তুলে নেন। আমিরাতের ব্যাটিং লাইনে প্রথম আঘাত হানেন মোহাম্মদ সামি। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে সামির ডেলিভারিতে রোহান মোস্তফা শহীদ আফ্রিদির হাতে ধরা পড়েন। আর তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আমিরের বলে বোল্ড হয়ে যান মোহাম্মদ কলিম। পরের ওভারেই ইরফানের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে যান মোহাম্মদ শেহজাদ।
সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে দলীয় ৪১ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ওসমান মুশতাক। আফ্রিদির বলে নেওয়াজের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তবে সায়মান আনোয়ার ব্যাট হাতে লড়াই করতে থাকেন। দলীয় ৭২ রানে আনোয়ার আউট হন ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৬ রান করে। ইরফানের বলে শরফরাজের হাতে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন তিনি।
আর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মোহাম্মদ ওসমান বোল্ড হন আমিরের বলে। এর আগেই তিনি করেন ২১ রান। অধিনায়ক আমজাদ জাভেদ ২৭ ও মোহাম্মদ নাভিদ ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন। আনোয়ার, ওসমান, জাভেদ ও নাভিদ ছাড়া কেউই দুই অঙ্ক ছূঁতে পারেননি।
আন্তর্জাতিক টি২০-তে দুদলের এটিই প্রথম মুখোমুখি লড়াই। এটি পাকিস্তানের শততম টি২০ ম্যাচ। প্রথম দল হিসেবে আন্তর্জাতিক টি২০-তে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছে তারা। এই ম্যাচে অভিষেক হয়েছে পাকিস্তানের স্পিন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নেওয়াজের।
এ বিভাগের আরো..
ঝিনাইদহে ফুটবল খেলার মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
বিশ্ব ফুটবলে ২০২৩ সালের শীর্ষ ১০ ঘটনা
অস্ট্রেলিয়া হেডের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড ষষ্ঠ বিশ্বকাপ