মন্ত্রী-আমলাদের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ ও আমলাদের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন ও ব্যয় কমাতে সাত দফা দাবি তোলা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), পল্লীমা গ্রিণ ও বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি এসব দাবি জানায়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী প্রতিবছর ভারত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ  বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য যান। এমনকি দেশের প্রধান নির্বাহীগণসহ মন্ত্রী, এমপি, সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও বৃত্তবানরা  স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হরহামেশাই দেশের বাইরে যান। যা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা বা অবহেলার বহিঃপ্রকাশ। তাছাড়া বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার কারণে প্রতিবছর বহু অর্থ দেশের বাইরে চলে যায়। তাদেরকে দেশেই চিকিৎসা নিতে হবে।

এ সময় তারা সাত দফা দাবি উত্থাপন করে। দাবিগুলো হলো- প্রধানমন্ত্রী দেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর পথ অনুসরণ করে মন্ত্রী-এমপিসহ রাজনৈতিক ব্যক্তি, উচ্চ পর্যায়ের আমলা, বিত্তবান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা দেশের সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা নেবেন। রাজধানী ঢাকার বাইরে বিভাগীয় ও জেলা শহরে আধুনিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা, স্থানীয় সকল সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালসহ অন্যান্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে মানসম্পন্ন পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে। জনসংখ্যা অনুপাতে ডাক্তার, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়োগসহ স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে জনগণকে সুলভমূল্যে উন্নত চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। ডাক্তার, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করতে হবে। চিকিৎসা সেবায় অত্যাধুনিক ব্যবস্থা সম্বলিত স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন করতে হবে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল রোগীদের আর্থিকভাবে সুবিধা দিতে হবে। ডাক্তারদের কনসালট্যান্সি ফি কমানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ওষুধের যথাযথ মান নিশ্চিত করতে হবে।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আ. ছোবান, পল্লীমা গ্রিণের সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির মহাসচিব আব্দুর রহমান।