বিশেষ প্রতিবেদক : ‘বাঘ বাঁচলে বাঁচবে বন, রক্ষা হবে সুন্দরবন’ স্লোগান সামনে রেখে আজ (২৯ জুলাই) বুধবার পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব বাঘ দিবস ২০১৫’। বাঘ আছে বিশ্বের এমন ১৩টি দেশ একযোগে দিবসটি পালন করছে। বাংলাদেশে দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সমাবেশ, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা আয়োজন করবে।
এদিকে সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের সুন্দরবনে আর মাত্র ১০৬টি বাঘ আছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চোরাকারবারীদের শিকার আর খাবার সংকটে দ্রুত কমছে সুন্দরবনের বাঘ। আর ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড’ জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী বাঘ বিলুপ্তির শঙ্কায় রয়েছে তারা৷ প্রায় এক লাখ বাঘ থেকে এই সংখ্যা এখন ১,৯০০ থেকে ৩,২০০-তে নেমে এসেছে৷
এসময় বাঘের সংখ্যা কমে যাওয়ার প্রবণতা রোধ এবং বিপন্ন এ প্রজাতি রক্ষায় এখনই সুন্দরবনে পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ সব ধরনের প্রতিনিধির অংশগ্রহণে স্বাধীন ‘অ্যান্টি পোচিং ইউনিট’ গঠনের দাবি জানান তিনি৷
বন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ‘‘ক্যামেরা ক্যাপচার পদ্ধতির জরিপে বাংলাদেশ এবং ভারতীয় সুন্দরবনে ৮৩ থেকে ১৩০টি বাঘের সন্ধান পাওয়া গেছে৷ এর গড় হিসেবে বাংলাদেশ অংশে প্রকৃত বাঘের সংখ্যা সর্বোচ্চ ১০৬টি হতে পারে৷”
অথচ এর আগে, ২০০৪ সালে, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও ভারতের বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় পায়ের ছাপের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত জরিপে সুন্দরবনে ৪৪০টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার গণনা করা হয়৷ এর মধ্যে ১২১টি পুরুষ, ২৯৮টি বাঘিনী এবং ২১টি শিশু বাঘ ছিল বলে জানা যায়৷ এরপর ২০০৬ সালে সুন্দরবনের এক শুমারিতে ২০০টি বাঘের কথা বলা হয়েছিল৷
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বাঘ বিশেষজ্ঞ মনিরুল খান বলেন, ‘‘নতুন জরিপে বাঘ কমে যাওয়ার আশঙ্কাই সত্যি হলো৷ তবে বাঘের সংখ্যা আমাদের শঙ্কার চেয়েও অনেক কমে গেছে৷”
তিনি বলেন, ‘‘চোরাশিকার ও বনাঞ্চলের আশেপাশে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণেই বাঘের সংখ্যা কমছে৷ বাঘের খাবার এবং আবাস এখন হুমকির মুখে৷ তাই সরকারের উচিত বাঘ রক্ষায় আরও পদক্ষেপ নেওয়া৷”
সূত্র: ডয়চে ভেলে
এ বিভাগের আরো..
পানির বোতলের মুখের রং লাল, নীল রং এর অর্থ কী?
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অমর হোক: অমর একুশে, মাতৃভাষা ও আমরা
ছয় দফা: স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সেতুবন্ধ