নিজস্ব প্রতিবেদক : যে কোনো সময় দেশে আট স্কেলের ভূমিকম্প হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। তারা জানিয়েছে, এরকম হলে উদ্ধার-চিকিৎসা প্রদানের জন্য কেউ থাকবে না।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাপা, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানারস (বিআইপি) এবং গ্রীনভয়েস আয়োজিত মানববন্ধনে এ আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। মারাত্মক ভূমিকম্পের হুমকি থেকে দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করার দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
বাপার যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী ইকবাল হাবিব বলেন, “রানা প্লাজার তলা থেকে দুই মাস খেটেও সবাইকে উদ্ধার করা যায়নি। দেশে নেপালের মতো যদি ৭.৫ রি-স্কেলের ভূমিকম্প হয় তবে উদ্ধার-চিকিৎসা ও সংবাদ প্রচারের জন্য কেউ থাকবে না। অথচ দেশে যে কোনো সময় ৮ স্কেলের ভূমিকম্প হতে পারে।”
তিনি আরো বলেন, “সরকারের উচিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে তা পুনর্নিমাণের ব্যবস্থা করা। কারণ রাজধানীতে এখন সাধারণ মানের ভূমিকম্প হলেই দুই লাখ বাড়ি ভেঙে পড়বে।”
ইকবাল বলেন, “নেপালের অবস্থা দেখেও আমাদের হুঁশ হচ্ছে না। প্রত্যেক নাগরিকের জানার অধিকার আছে তার বসবাসের স্থানটি নিরাপদ কীনা। রাজউক আজ নিজের মূল কাজ বাদ দিয়ে ব্যবসায়ী শ্রেণির জন্য উচ্চবিলাসী অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণে ব্যস্ত।”
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে ভবন, ভূ-কম্পন সহনশীলতাহীন ভবন ও বহুতল ভবন নির্মাণ রোধ করতে হবে। পাশাপাশি ভূমিকম্প মোকাবেলায় জরাজীর্ণ ভবনের সংস্কার করতে হবে। ভূমিকম্পে অভিজ্ঞ উদ্ধারকারী নিয়োগ করতে হবে। দেশে এ সংক্রান্ত আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসাকর্মীর অভাব রয়েছে।
বক্তারা জানান, বিজ্ঞানীদের মতে, ডাউকি-সিলেট কেন্দ্রিক আট রিখটার স্কেলের উচ্চ ধ্বংসাত্মক ভুমিকম্প যে কোনো সময়ই হতে পারে। তাতে ঢাকা মহানগরীর কয়েক লাখ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামান, ডা. মো. আব্দুল মাতিন, ওয়ার্কাস পার্টির নেতা রুহিন হাসান প্রিন্স প্রমুখ।
এ বিভাগের আরো..
প্রতিনিয়ত বুড়িগঙ্গার দূষণ আরও বিস্তৃত হচ্ছে
উপকূলীয় মানুষকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করছে সামাজিক ম্যানগ্রোভ বনায়ন
পানিতে উচ্চ লবণাক্ততা উপকূলীয় নারীদের মারত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে